বিশেষজ্ঞরা বলেন, পোষা প্রাণীর সঙ্গে ঘুমানোটা স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। এমনকি এ কারণে প্লেগ হওয়ারও ঝুঁকি থাকে।
ডেইলি মেইলে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা যায়, বিভিন্ন প্রাণীর মাধ্যমে ২৫০ ধরনের জীবাণু মানবশরীরে প্রবেশ করে, একশ’র বেশি জীবাণু ছড়ায় মূলত গৃহপালিত পশুর মাধ্যমে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, পোষা প্রাণীদের সঙ্গে ঘুমালে মারাত্মক সব স্বাস্থ্য-সমস্যায় পড়তে পারেন লিভার, কিডনিকে নষ্ট করে দিতে পারে যার ফলে জীবনও জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে।
একটি পরীক্ষায় দেখা গেছে নয় বছরের কিশোরের প্লেগ হয়েছে, এর মূল কারণ হলো ছেলেটি রোজ তার পোষা বিড়াল সঙ্গে নিয়ে একই বিছানায় ঘুমাতো। পোষা প্রাণীকে চুমু খাওয়ার ফলেও বিভিন্ন ধরনের রোগ হতে পারে।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ব্রুনো চমেল বলেন, অনেক দেশেই দেখা যায় পোষা প্রাণীদের প্রতি যত্ন নেওয়াটা সন্তানসম্ভবা নারী ও শিশুযত্নের বিকল্প হিসেবে কাজ করে। ঘরের মধ্যে আলাদা কোনো জায়গায় এদের থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। এই পোষা প্রাণী বিছানায় নেওয়া ঠিক না। আপনার বিছানাতে প্রাণীটাকে না নেওয়ার ফলে সে যে গুরুত্বহীন হয়ে গেল, বিষয়টা কিন্তু মোটেই তেমন নয়।
আর এই করোনার আতঙ্ক যখন চার দিকে তখন পোষা প্রাণী থাকলে অবশ্যই ঘরের বাইরে যেতে দেবেন না। এগুলোকে পরিষ্কার করার সময় হাতে গ্লাভস ও মুখে মাস্ক পরে নিন। এরপরও পোষা প্রাণীর কাজ শেষে সাবান পানি দিয়ে হাত ২০ সেকেন্ড ধরে ধুয়ে নিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২০
এসআইএস