আর করোনা হওয়ার পরে দেখা যাচ্ছে অনেকে খুব দ্রুত পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠছেন। আবার কেউ কেউ লম্বা সময় নিচ্ছেন।
জ্বর, কাশি দিয়ে শুরু হলেও পরে মাথা, ব্যথা গলা, ক্লান্তি এবং শ্বাসকষ্ট হতে পারে। ফুসফুস আক্রান্ত হওয়ায় অন্য উপসর্গের চেয়ে শ্বাসকষ্ট প্রকট হয় অনেকের ক্ষেত্রে।
যাদের সংক্রমণ কম হয়, তারা মাত্র এক সপ্তাহের কম সময়েও সুস্থ হয়ে ওঠেন অনেকে। বিশ্রাম, বেশি করে তরল পান এবং খুব সাধারণ কিছু ওষুধ দিয়ে বাড়িতেই আলাদা রেখে চিকিৎসার মাধ্যমে এদের সুস্থ করা সম্ভব।
কিন্তু সংক্রমণ যদি গুরুতর হয়, শরীরের ভেতরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। শ্বাসকষ্ট খুব বেশি হতে পারে তখন অক্সিজেন সহায়তা দিতে হয় বা হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। আর এমন অবস্থা হলে সুস্থ হয়ে উঠতে দুই থেকে আট সপ্তাহ সময় লেগে যেতে পারে। আর এর পরও ক্লান্তি ভাব থেকে থাকতে পারে আরও কিছু দিন।
করোনা হলে চিকিৎসার পাশাপাশি আতঙ্কিত না হয়ে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তারও দরকার। কার্ডিফ অ্যান্ড ভেল ইউনিভার্সিটি হেলথ বোর্ডের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ফিজিওথেরাপিস্ট পল টুজ বলছেন, 'আমরা জানি, পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে রোগীরা অনেক সময় নেন, অনেক সময় সেটা কয়েক মাস হয়ে যায়। কিন্তু সবার ক্ষেত্রে সাধারণভাবে এটা বলাও কঠিন। অনেক মানুষ ক্রিটিক্যাল কেয়ারে তুলনামূলকভাবে অল্প সময় থাকেন’।
বিশ্বে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এক কোটি ১০ লাখের বেশি আর মৃত্যু হয়েছে পাঁচ লাখের ওপরে। তবে আশার কথা হচ্ছে এই মহামারি করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন ৬০ লাখেরও বেশি মানুষ।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০২০
এসআইএস