ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

করোনাকালে গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে মা ও শিশুর ঝুঁকি

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২০
করোনাকালে গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে মা ও শিশুর ঝুঁকি

একে তো মহামারি করোনার জন্য সবাই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি। এর মধ্যে গর্ভবতী মায়েরা রয়েছেন, সবচেয়ে চিন্তায় ও ঝুঁকিতে।

কারণ, গর্ভকালীন প্রতিটি দিনই হবু মায়ের জন্য ভিন্ন ভিন্ন অনুভুতির হয়ে থাকে। এরমধ্যে যোগ হয় কিছু অসুস্থতা। তার একটি গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস।  

জাপানের আইচি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়াবেটিক গবেষক ও চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ শরীফ মহিউদ্দিন জানান, গর্ভাবস্থায় কিছু হরমোনের প্রভাবে ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়ায় রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। যদি গর্ভাবস্থায় প্রথমবারের মতো ডায়াবেটিস ধরা পড়ে, তাকে গর্ভকালীন সময়ের ডায়াবেটিস বা জেস্টেশনাল ডায়াবেটিস বলা হয়।

তাই, গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের ঝুঁকি প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজন সঠিক সময়ে ডায়াবেটিস নির্ণয় ও এর নিয়ন্ত্রণ অপরিহার্য।  

শরীফ মহিউদ্দিন বলেন, গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের মাত্রা বেশি হলে আতঙ্কিত না হয়ে ইনসুলিন ব্যবহার শুরু করতে হবে। প্রায় ৮০ শতাংশ গর্ভকালীন ডায়াবেটিস সন্তান জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই ভালো হয়ে যায় বলেও জানান তিনি।  

গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে সন্তান-সম্ভবা মায়ের বয়স বা ওজন তেমন প্রভাব ফেলে না, যে কারোই হতে পারে।  

এসময় ডায়াবেটিস ধরা পড়লে হবু মায়ের স্বাভাবিকের তুলনায় বাড়তি যত্ন নিতে হবে। নিজের এবং অনাগত শিশুর সুস্থতার জন্য। ওষুধ বা ইনসুলিনের পাশাপাশি গুরুত্ব দিতে হবে প্রতিদিনের খাবার নির্বাচনে।  

কার্বোহাইড্রেট(ভাত, রুটি, আলু) জাতীয় খাবারের পরিমাণ কমিয়ে সবজি ও প্রোটিনের পরিমাণ বাড়াতে হবে।  মিষ্টি জাতীয় খাবার বিশেষ করে সাদা চিনির তৈরি বা মিষ্টি ফল না খাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।  


শরীফ মহিউদ্দিন জানান, গর্ভকালীন সময়ে ডায়াবেটিস হলে হাঁটা সবচেয়ে ভালো ব্যায়াম। প্রতিদিন সুবিধামতো একটি নির্দিষ্ট সময়ে অন্তত ৪৫ মিনিট একটু বেশি গতিতে হাঁটতে হবে।  

এছাড়াও কিছু যোগ ব্যায়াম রয়েছে, যেগুলো ভালোভাবে শিখে করতে পারলে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে, গর্ভের শিশুর বিকাশ স্বাভাবিক হবে এবং প্রসবকালীন জটিলতা কমাতে সাহায্য করবে।  

এসময় নিয়মিত রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা পরীক্ষা করা উচিত। আর রক্তে গ্লুকোজ মাত্রা অতিরিক্ত দেখলে বা কোনো ধরনের শারীরিক সমস্যা বোধ করলে অতিদ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২০
এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।