অনেক বিদেশি মুভিতে দেখা যায় প্রিয় মানুষের নাম মনের সঙ্গে সঙ্গে হাতে বা বুকেও লিখে নেন কোনো প্রেমিক। আমাদের দেশেও গড়ে উঠেছে বেশ কিছু ট্যাটু পার্লার।
কিশোর বয়সে অভিজিৎ এর ছবি আঁকার প্রতি ছিল প্রবল ঝোঁক। হাতে পেন্সিল নিয়ে আঁকি উকি করতে খুব ভালোবাসতেন। সেই ভালোবাসা সূত্রেই ফ্যাশন ডিজাইনিং এ অনার্স ও মাস্টার্স করেন। খুব অল্প সময়ের মধ্যে সে দেশীয় মিডিয়ায় ফ্যাশন ডিজাইনার ও স্টাইলিশ হিসেবে বেশ পরিচিতি পান । পেয়েছেন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সম্মাননাও।
আঁকাআঁকির ঝোঁকটা কিন্তু তখনো প্রবল, তাই অনেকটা শখের বসে শুরু করেন ট্যাটু আঁকা। ট্যাটু করতে গিয়ে উপলব্ধি করলেন তার এখানে অনেক কিছু শেখার বাকি আছে। এই চিন্তা থেকেই কোর্স করতে চলে যান কলকাতার ইংক উইজার্ড ট্যাটু স্টুডিওতে। এরপর ২০১৯ প্রশিক্ষণ নিয়েছেন মুম্বাইয়ের ট্যাটু প্রশিক্ষণ কেন্দ্র অ্যালিয়েনস ট্যাটু স্কুল থেকে।
দেশে ফিরে ফ্যাশন ডিজাইনার অভিজিৎ সাহা হয়ে উঠলেন একজন পেশাদার ট্যাটু আর্টিস্ট। বর্তমানে ইংকপার্ক ট্যাটু স্টুডিও নামে ঢাকার মিরপুরে অভিজিৎ এর একটি নিজস্ব ট্যাটু স্টুডিও রয়েছে। যারা ট্যাটু করার কথা ভাবছেন ঘুরে আসতে পারেন অভিজিৎ এর ট্যাটু পার্লারে।
তবে এই ট্যাটু করার সময় আমাদের চামড়ায় আঘাত লাগে। স্থায়ী ট্যাটু বা উল্কি করতে যে রং ব্যবহার করা হয়, তা নিখুঁতভাবে চামড়ায় বসে যায়, আর তা আজীবন থেকে যায় শরীরে। এ থেকে ইনফেকশন হয়ে স্কিনের বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০২০
এসআইএস