মানসিক চাপ, ভয়, দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ, হতাশা, একাকীত্ব, বিরাগ, আসক্তি, মনযোগের অভাব, মেজাজ পরিবর্তন এবং শারীরিক অসুস্থতার কারণে মানসিক অবনতির ঝুঁকিতে পড়ে মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য ব্যাহত হচ্ছে মরাত্মকভাবে।
বিশ্বের অন্য দেশের মতো বাংলাদেশেও প্রতিবছর ১০ অক্টোবর বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস পালিত হয়।
করোনা, চারদিকে ধর্ষণের মতো নির্যাতনসহ নানা সমস্যায় চাপ মানসিক চাপ তৈরি হচ্ছে। আর মানসিক সমস্যায় ভুগতে ভুগতে ব্যক্তি জীবনের ভারসাম্যতা যেমন নষ্ট হচ্ছে, তেমনি পরিবারে পড়ছে এর নেতিবাচক প্রভাব। ফলে সামাজিক অপরাধ সংঘটিত হওয়া, ব্যক্তির মাদকাসক্তিতে জড়িয়ে পড়া, পারিবারিক সহিংসতা ও আত্মহত্যার প্রবণতা তৈরি হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রতিষ্ঠান এনজাইটি ইউকের নিকি লিডবেটার বলেন, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলার ভয় এবং অনিশ্চয়তা মেনে নিতে না পারাই এনজাইটি ডিজঅর্ডারের সাধারণ লক্ষণ। স্বাভাবিকভাবেই যাদের এ সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য বর্তমান পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে পড়েছে।
মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। প্রিয়জনদের মানসিক চাপ বা কোনো সমস্যা দেখা দিলে নিয়মিত তার খোঁজ রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, উদ্বিগ্ন হয়ে দুশ্চিন্তা করে এ সমস্যার মোকাবিলা করা যাবে না। উল্টো মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হবে। মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে প্রয়োজন সঠিক পরামর্শ ও চিকিৎসা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২০
এসআইএস