আমরা সবাই জানি, ডায়াবেটিস একটি দীর্ঘমেয়াদী রোগ। এ রোগে একজন মানুষের ঘন ঘন প্রশ্রাব হয়, অতিরিক্ত পানির তৃষ্ণা পায়, বেশি বেশি খিদে পায়।
ডায়াবেটিসের শারীরিক সমস্যা সম্পর্কে অনেকেই জানেন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলেন, ডায়াবেটিসের সঙ্গে মানসিক রোগ বা মানসিক সমস্যারও একটা যোগসূত্র রয়েছে। বিশেষত কারণ হিসেবে বাইপোলার মুড ডিজঅর্ডার, সিজোফ্রেনিয়া, বিষণ্ণতাকে দায়ি করা হয়।
আসলে ডায়াবেটিস হয়েছে জানার পর, প্রায় সবার ভেতরেই হতাশা দেখা দেয়। একদিকে, প্রতিদিনের যে জীবনযাপন তাতে বাধ্যবাধকতা আর নিয়মের কড়াকড়ি অন্যদিকে প্রিয় খাবার আর খাওয়া যাবে না, আজীবন নিয়ম মেনে চলতে হবে- এই সব ভাবনাই হতাশায় ভরিয়ে দেয় মনটাকে।
একই সঙ্গে যদি কারো ডায়াবেটিস ও বিষণ্ণতা উভয়ই দেখা দেয়- তবে অবশ্যই তা গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। নাহলে, ডায়াবেটিস বা বিষণ্ণতা কোনোটাই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, সবার মনে রাখতে হবে, এ ধরনের রোগীদের একটা সাধারণ প্রবণতা হচ্ছে -বিষণ্ণতার অনুভূতিকে অস্বীকার করা, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি অবহেলা করা। প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম এই প্রবাদ বাক্য মেনে রোগীকে সবসময় উৎফুল্ল রাখা, কর্মব্যস্ত রাখা, নিয়ম মেনে চলার জন্য উদ্বুদ্ধ করা– এসবই হতে পারে ডায়াবেটিসের রোগীদের মধ্যে বিষণ্ণতা গড়ে ওঠা রোধ করার হাতিয়ার।
কোনো মানসিক সমস্যা বা হতাশা দেখা দিলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। নিজে নিজে কখনোই ওষুধ বন্ধ করা বা পরিমাণ কম-বেশি করা যাবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২০
এসআইএস