হিসাব কষে ভালোবাসা হয় না, ভালোবাসা হয়ে যায়। কখন, কার সঙ্গে হবে এটাও অনেক সময়ই মানুষের হাতে থাকে না।
এই ভালোবাসার সম্পর্ক, প্রিয় মানুষের কাছেই কষ্ট পায়, প্রতারিতও হয় অনেকেই। প্রেমে ব্যর্থ হয়ে অনেকেই নিজের ভাগ্যকে দোষ দেন। অনেকেই আবার মনে করেন প্রেমটাই ভুল ছিল।
কিন্তু একবারও কি ভাবা হয় একটা সম্পর্ক এগিয়ে নিতে দু’জন মানুষেরই যে পরিমাণ চেষ্টা ও আন্তরিকতার প্রয়োজন, সেটুকুর পুরোটাই ছিল সঙ্গীর ব্যবহারে? যদি না থেকে থাকে তাহলে এই ভালোবাসা নিয়ে মন খারাপ করার কোনো কারণ নেই, বরং ভাবুন আপনার ভালোবাসা ঠিক ছিল, শুধু যাকে ভালোবেসেছেন তিনি ছিলেন ভুল মানুষ। কীভাবে বুঝবেন প্রিয় মানুষটিই ভুল, আর কখন সরে আসাই আপনার জন্য মঙ্গল:
আপনিই শুধু সঙ্গীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন, তিনি কখনো আপনার সঙ্গে নিজে আগ্রহ নিয়ে কথা বলেন না? তাহলে এবার আপনাকে ভাবতেই হবে।
শুধু আর্থিক কারণেই জগতের কত সম্পর্ক ভেঙেছে তা গুনে শেষ করা কঠিন। তাই আর্থিক বিষয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করুন। তার দিক থেকেও সমান সাড়া পান কিনা, এটাও লক্ষ্য রাখুন-জীবনের একটা সময় যেন এই সম্পর্ক আপনার জীবনের আর্থিক কষ্টেরও কারণ না হয় এটা মাথায় রাখুন।
নানা কারণে মাঝেমধ্যে মনোমালিন্য হবে। তবে এসব সাধারণ ঝামেলা ইতিবাচক পন্থায় এড়িয়ে চলুন। আগুনে ফুঁ দিলে যেমন আগুন বাড়ে তেমনি সাংসারিক কলহেও নেতিবাচক মন্তব্য বা আচরণ তা বাড়িয়ে দেবে। সুতরাং ঝামেলা এড়িয়ে চলুন, তবে অপর পক্ষ যদি কিছুতেই ছাড় দিতে প্রস্তুত থাকেন, তাহলে তো বুঝতেই পারছেন আপনার করণীয়।
একই বিষয় নিয়ে বারবার ঝগড়া নয়। যদি দেখেন বারবার একটি বিষয় আসছে, তবে সম্পর্কের ভারসাম্যের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এমন হলে দু’জন মিলেই ঠিক করুন আলাদা পথ।
সঙ্গীর ওপর কোনো সিদ্ধান্ত চাপানোর চেষ্টা করবেন না। তাকেও সব সময় আপনার ওপর সিদ্ধান্ত চাপানোর সুযোগ দেবেন না।
যদি সম্পর্কের ক্ষেত্রে সবকিছুই আপনার ওপর নির্ভর করে, যেমন কবে দেখা করবেন, কী খাবেন কিংবা অন্য কোনো পরিকল্পনা যদি কেবল আপনাকেই করতে হয়, তাহলেও ভাবনার জায়গা আছে। এছাড়া সঙ্গী যদি আপনাকে সুখী রাখার ব্যাপারে তেমন কিছুই না করে, তাহলে বুঝতে হবে আপনি ভুল মানুষের প্রেমে পড়েছেন।
মনে রাখবেন, ছোট ছোট অভিমান সম্পর্ক আরও মধুর করে। এগুলো নিজেদের মধ্যেই রাখুন। সম্পর্ক নিয়ে খুব মন খারাপ বা হতাশার কথা জানানোর জায়গা সোশাল মিডিয়া না। সমস্যা নিয়ে লিখে মেসেজ না পাঠিয়ে মুখোমুখি কথা বলুন। সামাজিক মাধ্যমে কঠিন কথাবার্তা চালালে দাম্পত্য কলহ বাড়ে। এতে সম্পর্ক অবনতি হবেই।
ভালোবাসা ও আস্থার একটি সম্পর্ক তৈরি হতে বছর সময় লেগে যায়, খুব ছোট কোনো বিষয়ে সম্পর্ক থেকে বেড়িয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে যাবেন না। সম্পর্ক ছিন্ন করার আগে আবেগ সরিয়ে রেখে বাস্তবতা নিয়ে ভাবুন। প্রয়োজনে বন্ধু বা আত্মীয়দের পরামর্শ নিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০২০
এসআইএস