ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

করোনার পরে এত ক্লান্তির কারণ কী!

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২১
করোনার পরে এত ক্লান্তির কারণ কী!

করোনা থেকে সেরে ওঠার পরও বেশ কিছু দিন থাকে করোনার ক্লান্তি। কেন এত ক্লান্ত লাগে সত্যিই তো, কেন এমন হয়, আসুন জেনে নেই:   
করোনার পর পুষ্টিকর সুষম খাদ্যের অভাব আপনাকে ক্লান্ত করে দিতে পারে।

যথেষ্ট আমিষ ও শর্করা, পর্যাপ্ত ভিটামিন ও খনিজ খাবারে থাকতে হবে।

অ্যানিমিয়া বা রক্ত স্বল্পতায় ভুগলে রক্তে রেড ব্লাড সেল বা হিমোগ্লোবিন কমে যায়। এর অন্যতম লক্ষণ হলো ক্লান্ত হয়ে পড়া। সঙ্গে মাথা ঘোরা এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যাও দেখা দেয়। ভিটামিন সি-র অভাবে হিমোগ্লোবিন কমে যেতে পারে। তাছাড়া ভিটামিন সি ছাড়া আয়রন পুরোপুরিভাবে শোষণ হয় না। আমলকি, পেঁপে, বাতাবিলেবু, কমলা, লেবু, স্ট্রবেরি, গোলমরিচ, ব্রোকোলি, আঙুর, টমেটো ইত্যাদিতে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে।

হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে লোহা গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। আয়রন সমৃদ্ধ কিছু খাবার হলো- দেশি সুস্থ মুরগির কলিজা, কচু শাক, লাল মাংস, চিংড়ি, পালংশাক, আমন্ড, বিট, খেজুর। আয়রন, ক্যালসিয়াম, কার্বোহাইড্রেইড এবং ফাইবার সমৃদ্ধ বেদানা হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে।  

এছাড়া মধু আয়রনের একটি ভালো উৎস। আয়রন ছাড়াও মধুতে কপার ও ম্যাঙ্গানিজ আছে। এই উপকরণগুলো শরীরে গিয়ে প্রচুর পরিমাণে হিমোগ্লোবিন প্রস্তুত করতে সহায়তা করে। করোনা থেকে সেরে ওঠার পরও পুরোপুরি সুস্থ হতে এগুলোর সঙ্গে নিয়মিত দুধ, ডিমও খেতে হবে।  
ঘুম না হওয়া, ডিপ্রেশন বা অবসাদ থেকেও ক্লান্তিভাব আসতে পারে।  

সারাক্ষণ যদি একই ধরনের ক্লান্তি ভর করে থাকে তবে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২১ 
এসআইএস    
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।