ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

প্রথা-অপ্রথাগত হুমকি মোকাবিলা করুন: প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২২
প্রথা-অপ্রথাগত হুমকি মোকাবিলা করুন: প্রধানমন্ত্রী ‘ডিএসসিএসসি কোর্স ২০২২’ এর গ্র্যাজুয়েশন সিরিমনিতে পরিদর্শন বইতে সই করছেন প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা: নতুন প্রযুক্তির আবির্ভাবের সঙ্গে অপরাধের ধরন পরিবর্তিত হওয়ায় জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রথাগত ও অপ্রথাগত হুমকি মোকাবিলার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ট্র্যাডিশনাল সিকিউরিটি থ্রেটের পাশাপাশি নন-ট্র্যাডিশনাল সিকিউরিটি থ্রেটসমূহ প্রতিহত করাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এখন নিরাপত্তার বিষয়টি অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে। ডিজিটাল ডিভাইস আমাদের অনেক সুযোগ করে দিয়েছে। পাশাপাশি সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ কিংবা অপরাধের ধারাটাও পাল্টে গেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ (মঙ্গলবার) সকালে মিরপুর সেনানিবাসের ডিফেন্স সার্ভিস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজের (ডিএসসিএসসি) শেখ হাসিনা কমপ্লেক্সে ‘ডিএসসিএসসি কোর্স ২০২২’ এর গ্র্যাজুয়েশন সিরিমনিতে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ দেশে থাকুক, সেভাবেই আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি এবং আমাদের লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ অর্থাৎ বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষই এই ডিজিটাল ডিভাইস সম্পর্কে জানবে, ব্যবহার করবে।

শেখ হাসিনা বিশ্ব সম্প্রদায়ের কল্যাণে অবিলম্বে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই। আমরা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সব বিরোধ ও মতভেদ দূর করতে চাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সশস্ত্র বাহিনীকে উন্নত ও শক্তিশালী করা হচ্ছে। কিন্তু তা কারো সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য নয়।

তিনি বলেন, আমাদের পররাষ্ট্রনীতি ‘সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়’ খুব স্পষ্ট। আমরা জাতির পিতার নেওয়া পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করে সবারর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে রাষ্ট্র পরিচালনা করছি।  

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিজ ভূমিতে প্রত্যাবাসন নিয়ে তারা মিয়ানমারের সঙ্গে কোনো বিবাদে জড়াননি।

তিনি বলেন, আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি।  

প্রধানমন্ত্রী প্রতিবেশী ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে আইনি লড়াইয়ে জয়ী হয়ে আলোচনার মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে সীমানা সমস্যা সমাধান এবং বিশাল সমুদ্র এলাকা ও এর সম্পদের অধিকার প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করেন।

তিনি আবারও দেশবাসীকে ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এবং তারল্য নিয়ে গুজবের বিরুদ্ধে সতর্ক করে বলেন, একটি স্বার্থান্বেষী মহল ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এবং তারল্য নিয়ে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করছে। গুজবে কান দেবেন না।  

তিনি ব্যাংকে পর্যাপ্ত বৈদেশিক রিজার্ভ এবং তারল্য থাকার বিষয়ে জনগণকে আশ্বস্ত করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকার ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লিখিত রূপকল্প-২০২১ অনুযায়ী বাংলাদেশকে একটি ডিজিটাল ও উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তর করতে সক্ষম হয়েছে।

তিনি বলেন, জাতি যখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছে, তখন বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করা আমাদের জন্য একটি বড় অর্জন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার এখন রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ এবং ডিজিটাল বাংলাদেশকে একটি ‘স্মার্ট বাংলাদেশে’ রূপান্তর করতে প্রস্তুত।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২২ 
টিআর/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।