ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আশুলিয়ায় ধর্ষণের পর হত্যা, আটক ৪

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০২২
আশুলিয়ায় ধর্ষণের পর হত্যা, আটক ৪

সাভার (ঢাকা): সাভারের আশুলিয়ার চাঞ্চল্যকর ক্লু-লেস হত্যা কাণ্ডের রহস্য উদঘাটন। এ হত্যা কাণ্ডের মূল হোতাসহ ৪ জনকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৪ (র‌্যাব)।

আটককৃতরা হলেন- মনিরুজ্জামান (৩৫),  মো. সোলায়মান হোসেন ওরফে বাবু (৪০), আল আমিন (৩০) ও মো. সাব্বির ইসলাম (১৮)।

শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে র‌্যাব-৪, সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার রাকিব মাহামুদ খান।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) র‌্যাব-৪ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল আশুলিয়ার পাতালিয়া ইউনিয়নের খেজুরটেক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এ চারজনকে আটক করে।

নিহত নারী মোছা. পারভিন আক্তার লক্ষ্মীপুর সদর থানাধীন এলাকার বাসিন্দা। বিগত সাত-আট বছর ধরে আশুলিয়া থানাধীন খেজুরটেক এলাকায় ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকতেন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব জানায়, গত ২০ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে সাভারের আশুলিয়ার একটি পরিত্যক্ত নির্মাণাধীন বাড়ির ভেতরের জঙ্গলে মোছা. পারভিন আক্তার নামের এক নারীর লাশ খুঁজে পাওয়া যায় এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করা হলে থানা পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) মৃতের ছেলে মো. ইসমাইল হোসেন অজ্ঞাতনামা আসামী করে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে র‌্যাব-৪ এর একটি গোয়েন্দা দল ভিকটিমের দেহ সনাক্তসহ হত্যার রহস্য উদঘাটন ও অপরাধীদেরকে আইনের আওতায় আনতে ছায়াতদন্ত শুরু করে। পরে গত বৃহস্পতিবার গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে উক্ত হত্যা কাণ্ডের মূলহোতা মনিরুজ্জামানসহ চারজনকে আটক করা হয়।  

র‌্যাব-৪ সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার রাকিব মাহামুদ খান বলেন, আসামিদের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে মৃত পারভিন আক্তারসহ আটক আসামীরা পূর্ব পরিচিত এবং তারা স্থানীয়ভাবে ভাঙ্গারির ব্যবসার কাজে ভিকটিম পারভিন আক্তারের কাছে টাকা ধার নেয়। সেই টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় পারভিনের সাথে। তখন মো. মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে অন্যান্যরা ভিকটিম পারভীনের বড় কোনো ক্ষতি করার পরিকল্পনা করে।

তিনি আরও বলেন, সেই পরিকল্পনা মোতাবেক গত ১৭ ডিসেম্বর রাত ৮টার সময় কৌশলে আশুলিয়ার ফুলেরটেক এলাকায় একটি পরিত্যক্ত নির্মাণাধীন বাড়ির ভেতরের জঙ্গলে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে আটক আসামীরা ভিকটিমকে পালাক্রমে ধর্ষণের ফলে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে আসামিরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এবং ঘটনা আড়াল করার জন্য তারা ভিকটিমের পরিহিত পায়জামা ভিকটিমের গলায় পেচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে এবং মৃতদেহকে সুকৌশলে গভীর জঙ্গলে ফেলে যায়। আটককৃত আসামিরা এই ঘটনার সাথে তাদের সরাসরি সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। আসামীদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০২২
এসএফ/এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।