ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

প্রথম দিনেই মেট্রোরেলে চড়তে চায় মিরপুরবাসী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২২
প্রথম দিনেই মেট্রোরেলে চড়তে চায় মিরপুরবাসী

ঢাকা: দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বহুল আকাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের মেট্রোরেলের যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ। বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) উদ্বোধন হলেও জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর)।

কালের স্বাক্ষী হতে বৃহস্পতিবারই মেট্রোরেলে ভ্রমণ করতে চায় মিরপুরবাসী।

বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে বেগম রোকেয়া সরণিতে বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে এমনটি জানিয়েছে মিরপুরবাসী।

তারা জানায়, স্বপ্নের মেট্রোরেল দৃশ্যমান হয়েছে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর চালু হচ্ছে মেট্রোরেল। এটি তৈরির সময় আমরাই সবচেয়ে বেশি কষ্ট করেছি। তাই উদ্বোধন হিসেবে কালের স্বাক্ষী হতে প্রথম দিনেই দল বেঁধে বেঁধে আমরা মেট্রোরেলে দিয়াবাড়ী ভ্রমণ করবো।  

এ ব্যাপারে মিরপুর শেওড়াপাড়ার বাসিন্দা নাসির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আগামীকাল সকালেই স্টেশনে গিয়ে লাইন দিব এবং প্রথম দিনই ভ্রমণ করবো। দীর্ঘ সাত-আট বছর আমরা অপেক্ষা করেছি এই দিনের জন্য। তাই এই শুভক্ষণটি মিস করতে চাই না।

দিনে একবার উত্তরায় গেলে দিন শেষ হয়ে যেতো। এখন ১০ মিনিট ১০ সেকেন্ডে উত্তরা থেকে আগারগাঁও যাওয়া যাবে মেট্রোতে- এটা কল্পনাই করা যায় না বলে জানালেন কাজীপাড়ার বাসিন্দা শওকত হোসেন। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমার শ্বশুরবাড়ি উত্তরখানে। জ্যামের কারণে ছয় মাসেও একবার যাওয়া হয়নি। এখন প্রতি সপ্তাহে যাওয়া হবে এবং আগামীকাল থেকেই শুরু হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

প্রথম দিনেই দল বেঁধে মেট্রোরেলে ভ্রমণ করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন মিরপুরের বাসিন্দা ফজলুর রহমান। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের দীর্ঘ দিনের পরিকল্পনা মেট্রোরেল চালু হলে প্রথম দিনেই বন্ধু বান্ধব মিলে ভ্রমণ করবো। আশা করছি সকালেই লাইনে দাঁড়িয়ে আশাটা পূরণ করতে পারবো।  

এদিকে বৃহস্পতিবার থেকে মেট্রোরেলে যাত্রী পরিবহন চলবে সীমিত পরিসরে। আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের দিন থেকে চলবে পুরোদমে।

প্রাথমিকভাবে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ছয়টি বগি বিশিষ্ট ১০ সেট ট্রেন চলাচল করবে। আপাতত এই রুটে ধীরগতিতে ট্রেন চলবে। এই পর্যায়ে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ট্রেন চলবে, পরে চলাচলের সময় বাড়ানো হবে এবং চাহিদা অনুযায়ী ট্রেনের সংখ্যা বাড়বে।

পূর্ণ গতিতে ট্রেন চলাচল শুরু হলে প্রতি সাড়ে তিন মিনিট অন্তর একটি ট্রেন চলবে। প্রতিটি স্টেশনে, যাত্রীদের ওঠা ও নামা সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত ট্রেনটি অপেক্ষা করবে। প্রতিটি ট্রেন ২ হাজার ৩০০ জন যাত্রী নিয়ে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারে। তবে বাঁকযুক্ত এলাকায় গতি কম হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২২
এসএমএকে/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।