ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ভেকু দিয়ে খনন, কাজ না পেয়ে হতাশ দিনমজুররা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২২
ভেকু দিয়ে খনন, কাজ না পেয়ে হতাশ দিনমজুররা

ঝালকাঠি: সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক প্রকল্পে খনন কাজে এখন ব্যবহার করা হচ্ছে ভেকু (খননযন্ত্র)। এতে কর্মসংস্থান হারাচ্ছেন দিনমজুররা।

হতাশা নিয়ে দিন কাটছে তাদের। বরিশাল-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি অংশে সড়ক বর্ধিতকরণ কাজে এবং ব্রিজ নির্মাণের খনন কাজ শ্রমিকদের দিয়ে করানো হচ্ছে না। খনন কাজ করানো হচ্ছে খননযন্ত্র (ভেকু) দিয়ে। এতে সরকারের উন্নত দেশের ন্যায় মাথাপিছু আয় পিছিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার উদ্দেশে ব্যবহার হওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় শ্রমিকেরাও কাজের এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।


পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী, কর্মহীন মানুষের জীবন-জীবিকা সচল রাখতে শ্রমিকদের দিয়ে কিছু কাজ করিয়ে পারিশ্রমিক দিলে তারা স্বাচ্ছন্দে জীবনযাপন করতে পারতো। ভেকু দিয়ে খনন করার ফলে শ্রমিকেরা যেমন কাজ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, তেমনি সড়কের পাশে থাকা বসবাসকারী মানুষের গাছপালাসহ উদ্ভিদ ও প্রাণিকূলের ক্ষতি হচ্ছে বলেও অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। রাজাপুর বাজার রোডের ব্রিজ নির্মাণ কাজের জন্য বেইজ নির্মাণে খনন কাজও করা হচ্ছে ভেকু দিয়ে।  

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক রফিক খান জানান, বর্তমানে পাকা ধান কাটার মৌসুম থাকায় কোনো শ্রমিক কাজ করতে চান না। শ্রমিক না পাওয়ায় কারণে খননযন্ত্র দিয়ে কাজ করাতে হচ্ছে।

শ্রমিকরা জানান, সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ সারা বছরই চলমান থাকে। আমাদের মাত্র একটি মৌসুমই থাকে যখন ধান কাটার সময়। এছাড়া সারা বছরই অনেক কষ্টে টেনেটুনে সংসার চালাতে হয়। আমাদেরকে যদি উন্নয়নমূলক কাজে শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে কাজ করায় তাহলে আমরাও একদিকে সরকারের উন্নয়নে সহযোগিতার অংশীদার হতে পারবো। অপরদিকে নিজেরাও ভালোভাবে বাঁচতে পারবো পরিবার পরিজন নিয়ে।  

ঝালকাঠি জেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক হারুন অর রশিদ জানান, সড়কে ও ব্রিজ নির্মাণের খনন কাজ শ্রমিকদের না দিয়ে করা হচ্ছে খননযন্ত্র (ভেকু) দিয়ে। সরকারের এ সকল কাজে স্থানীয় শ্রমিকদের অংশগ্রহণ থাকে তাহলে স্থানীয়ভাবে অর্থনীতিও চাঙা হয়, সেই সাথে দরিদ্র শ্রমিকরাও কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২২
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।