খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ি পুলিশ লাইন্স থেকে নির্গত গ্যাসের বিষক্রিয়ায় আশপাশের কয়েকটি এলাকার মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এরমধ্যে বেশ কয়েকজন খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, পুলিশ সদস্যদের অস্ত্রের অনুশীলনে টিয়ারশেলসহ অন্যান্য অস্ত্র থেকে নির্গত গ্যাসের কারণে এমনটা হতে পারে।
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে শহরের খাগড়াপুর, শালবাগানসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় গ্যাসের বিষক্রিয়া ছড়িয়ে পড়ে। এতে স্থানীয়দের চোখ-মুখ ও নাক জ্বালাপোড়া, বমিসহ নানা অসুস্থতা দেখা দেয়। অনেকে ঘর থেকে বের হয়ে রাস্তায় নেমে আসেন। গ্যাসের বিষক্রিয়া অনেক দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।
অসুস্থ অবস্থায় ৭ জনকে খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে আনা হয়। তারা হলেন জেবলী ত্রিপুরা (৩৪), শেফালী ত্রিপুরা (৩৫), রিকি ত্রিপুরা (২), শ্রাবন্তী ত্রিপুরা (১৫), এনি ত্রিপুরা (১৯), সীমা রানী ত্রিপুরা (৪৬) ও আব্দুল বারেক (৭৫)।
এরমধ্যে এনি ত্রিপুরা, সীমা রানী ত্রিপুরা ও আব্দুল বারেককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা জয় ত্রিপুরা বলেন, রাতে হঠাৎ করে গ্যাসের গন্ধে চারদিকে লোকজন চিৎকার শুরু করেন। চোখ জ্বলছে, নাক জ্বলছে, কেউ বা বমি করছে। বিশেষ করে শিশুরা। মুহূর্তে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কেউ আর ঘরে থাকতে পারেনি। আমরা অনেককে হাসপাতালে নিয়ে এসেছি।
খাগড়াপুর এলাকার বাসিন্দা দেবাশীষ ত্রিপুরা বলেন, আমাদের এলাকায় পুলিশ লাইন্সে সপ্তাহখানেক ধরে ফায়ারিং অনুশীলন চলছিল। সেখানে মেয়াদোর্ত্তীর্ণ টিয়ারশেল নষ্ট করতে গিয়ে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, যা রীতিমতো আতঙ্ক তৈরি করেছে।
খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন ডা. মো. সাবের হোসেন বলেন, এসপি সাহেব আমাকে বলেছেন পুলিশের অনুশীলনে টিয়ারশেল লিকেজ হওয়ার কারণে গ্যাসের গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। ঝাঁঝালো গন্ধে চোখ লাল হওয়া, বমি হওয়ার মতো কিছু লক্ষণ দেখা দেয়। যারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তারা সকলে মোটামুটি সুস্থ আছেন।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. নাইমুল হক বলেন, আমাদের বার্ষিক ফায়ারিং অনুশীলন চলছে। সেখানে শর্টগান, টিয়ারশেলের গ্যাস থেকে এমনটা হয়েছে। রাতে অনুশীলন করাতে ঝামেলাটা হয়েছে। আমি কাল থেকে দিনের বেলা ফায়ারিং অনুশীলন করতে বলেছি। এখন সবকিছু স্বাভাবিক আছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২৩
এডি/এমজেএফ