ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

স্নাতকোত্তর ডিগ্রি দেওয়ার বিধান রেখে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল বিল পাস

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২৩
স্নাতকোত্তর ডিগ্রি দেওয়ার বিধান রেখে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল বিল পাস

ঢাকা: নার্সিং ও মিডওয়াইফ শিক্ষায় ডিপ্লোমা ও স্নাতক ডিগ্রির পাশাপাশি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি দেওয়ার বিধান রেখে ‘বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল (সংশোধন) আইন, ২০২৩’ বিল জাতীয় সংসদে পাস করা হয়েছে।

একইসঙ্গে সংশোধিত আইনে ‘নার্সিং কাউন্সিল’কে ‘নার্সিং ও মিডওয়াইফ কাউন্সিল’ এবং ‘সেবা পরিদপ্তরের পরিবর্তে ‘নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর’ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিবর্তে ‘স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর’ করা হয়েছে।

 

এ ছাড়া নিবন্ধন ব্যতীত নার্সিং কোর্স পরিচালনা ও অনুমোদিত সনদ ছাড়া কেউ নিজেকে নার্স, মিডওয়াইফ পেশাজীবীর ভুয়া পরিচয় দিলে অর্থদণ্ড ও কারাদণ্ডের বিধান বহাল রাখা হয়েছে।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) সংসদ অধিবেশনে বিলটি পাসের জন্য উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বিলে বিরোধী দলের সদস্যদের দেওয়া সংশোধনী প্রস্তাবের ওপর আলোচনার পর তা কণ্ঠ ভোটে পাস হয়। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

২০১৬ সালে প্রণীত বিদ্যমান আইনের ১৬ নম্বর ধারা সংশোধন করে ‘ডিপ্লোমা বা স্নাতক’ শব্দ প্রতিস্থাপন করে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদানের বিধান যুক্ত করা হয়েছে। আইনের ৩০ নম্বর ধারা সংশোধন করে নতুন ৩০ ধারায় বলা হয়েছে, এই আইনের অপরাধসমূহ অপরাধের গুরুত্ব অনুযায়ী এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতে কর্তৃক বিচার্য হবে।  

নতুন ৩১ ধারা সংযোজন করে বলা হয়েছে, ফৌজদারি কার্যবিধিতে ভিন্নতর যা কিছুই থাকুক না কেন, আইনের ২১, ২৭ ও ২৮-এর অধীন কারাদণ্ড প্রধানের এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতের সংশ্লিষ্ট ধারায় অর্থদণ্ড আরোপের ক্ষমতা থাকবে। ২১-এ নিবন্ধন ব্যতীত নার্সিং বা, মিডওয়াইফারি বা, সহযোগী পেশা গ্রহণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ২৭ ধারায় ভুয়া পদবি ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ২৮ ধারায় প্রতারণামূলক প্রতিনিধিত্ব বা নিবন্ধনের দণ্ড বর্ণিত হয়েছে।

নতুন ৩১ (ক) প্রতিস্থাপন করে বলা হয়েছে, আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে বা এই আইনের অন্য কোনো বিধানে যা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন সংঘটিত কোনো অপরাধ মোবাইল কোর্ট আইনের তফসিলভুক্ত মোবাইল কোর্টে কর্তৃক বিচার্য হবে। আইনে কাউন্সিলের অনুমোদন ব্যতীত নিজেকে নার্স, মিডওয়াইফ বা সহযোগী কোনো পেশাজীবী হিসেবে পরিচয় দিলে অনধিক এক বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন। উক্ত অপরাধ অব্যাহত থাকলে, প্রতিবার পুনরাবৃত্তির জন্য অন্যূন ২০ (বিশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে, উক্ত দণ্ডের অতিরিক্ত হিসাবে, দণ্ডনীয় হবেন।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল আইন, ২০১৬ বলবৎ হওয়ার পর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ’ ও  ‘স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ’ নামে দুটি বিভাগ সৃষ্টি হওয়ায় সংশ্লিষ্ট আইনে ‘স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়’- এর স্থলে ‘স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ’ প্রতিস্থাপনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।  

এ ছাড়া ‘বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিল’ এর পরিবর্তে ‘বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল’, ‘সেবা পরিদপ্তর’ এর পরিবর্তে ‘নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর’, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তর’ এর পরিবর্তে ‘স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর’ সহ কয়েকটি পদনাম পরিবর্তন হওয়ায় আইনটি পরিমার্জনপূর্বক সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। সংশোধিত আইনটি প্রণীত হলে নার্সিং শিক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন, নার্সিং শিক্ষার প্রসার মানসম্মত নার্স তৈরি, সেবার মান এবং সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন ঘটবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২৩
এসকে/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।