লক্ষ্মীপুর: একদিকে শীত মৌসুম, অন্যদিকে নদীতে কমেছে পানির গভীরতা। এছাড়া বিভিন্নস্থানে পড়েছে ডুবোচর।
মাছঘাট এবং হাটবাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। আর পোয়া মাছ বিক্রি ইচ্ছে অনেকটা সাশ্রয়ী দামে।
জেলার কমলনগর উপজেলার মতিরহাট, নবীগঞ্জ ও সদর উপজেলার মজুচৌধুরীর হাট মাছঘাট ঘুরে দেখা গেছে, জেলেরা মেঘনা নদী থেকে মাছ ধরে পাইকারি বিক্রির উদ্দেশ্যে ঘাটে নিয়ে আসছেন। এসব ঘাটে ইলিশের চেয়েও পোয়া মাছের পরিমাণ বেশি। বিভিন্ন আকারের ইলিশ চড়া দামে কিনে নিচ্ছেন। আর পাইকাররা পোয়া মাছ অনেকটা কম দামে কিনতে পারছেন।
মতিরহাট এলাকার জেলে মহসিন, বাবুল ও মো. কবির বাংলানিউজকে জানান, শীত মৌসুমে নদীতে সাধারণত ইলিশ মাছ কম দেখা মেলে। ইলিশ গভীর পানির মাছ। এ সময়টাতে নদীতে পানির পারিমাণ কম এবং ডুবোচর থাকায় ইলিশ মাছ গভীর সাগরে চলে যায়। তবে শীতে পোয়া মাছের পরিমাণ অনেক বেশি। জাল ফেললেই পোয়া মাছ উঠে আসছে।
তারা জানান, পোয়া মাছ বেশি ধরা পড়ায় দাম অনেকটা কমে গেছে। তবে ইলিশ মাছ কম পাওয়া গেলেও বেশি দামে বিক্রি করা যায়।
মতিরহাট মাছঘাটের আড়তদার মাঈন উদ্দিন মোল্লা বাংলানিউজকে বলেন, অন্যান্য শীতের সময়ে ঘাটে ইলিশ মাছের উপস্থিতি থাকলেও এবার ইলিশের পরিমাণ একেবারে কম। তবে পোয়া মাছের পরিমাণ অনেক বেশি। মাঝারি আকারের এক ক্যারেট (২০ থেকে ২৫ কেজি) পোয়া মাছ ডাকে বিক্রি হচ্ছে আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার টাকা।
লক্ষ্মীপুর পৌর মাছ বাজার, দক্ষিণ তেমুহনী, উত্তর তেমুহনী, কমলনগরের চৌধুরী বাজার ও মুন্সিরহাট বাজারঘুরে দেখা গেছে, পোয়া মাছ কিছুটা কম দামে বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি আকারের প্রতি কেজি পোয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে আড়াইশ থেকে তিনশ টাকা। ছোট আকারের পোয়া মাছের কেজি দেড়শ থেকে ১৮০ টাকা এবং বড় আকারের পোয়া মাছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আর ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা, এক কেজি ওজনের ইলিশ ১৫০০ থেকে ১৭০০ টাকা, ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি হাজার টাকা, ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা এবং জাটকা আকারের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, জেলেদের জালে ইলিশ মাছের পাশাপাশি পোয়া মাছও ধরা পড়ছে। ইলিশের পারিমাণ কমে যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ইলিশ গভীর পানির মাছ। কিন্তু এখন নদীতে চর পড়ে গেছে এবং পানি কমে গেছে। তাই ইলিশ মাছ কম পাওয়া যাচ্ছে। পানি বাড়লে ইলিশের পরিমাণও বাড়বে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২৩
আরএ