ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহে একাত্তরের মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলায় সুলতান মাহমুদ ফকির (৭০) নামে এক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে ধরেছে র্যাব।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সংশ্লিষ্ট আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
সুলতান মাহমুদ জেলার ত্রিশাল উপজেলার বিয়ারতা গ্রামের মৃত আসমত আলী ফকিরের ছেলে।
এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১৪ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের নদী পারাপারে সহযোগীতা করার কারণে ত্রিশালের কাকচর গ্রামের ইউনুছ আলীকে ধরে নিয়ে ১৯৭১ সালের ১৫ আগস্ট সকালে গুলি করে হত্যা করে শান্তি ও রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা। এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ২৮ ডিসেম্বর শহীদ ইউনুছ আলীর ছেলে রুহুল আমিন বাদী হয়ে ময়মনসিংহের বিচারিক আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
এরপর আদালতের বিচারক আবেদা সুলতানা মামলাটি আমলে নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠালে ২০১৭ সালের ২৬ জানুয়ারি মামলাটির তদন্ত শুরু হয়।
একই বছরের ৩১ ডিসেম্বর মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল হলে ২০১৮ সালের ৫ ডিসেম্বর মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, অগ্নিসংযোগ, নির্যাতনসহ ছয়টি অপরাধের অভিযোগ গঠন করা হয়। পরে চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি ছয় জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, এ মামলায় মোট আসামি ছিলেন ৯ জন। এর মধ্যে ৩ আসামি মৃত্যুবরণ করায় বাকি ৬ পলাতক আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। তারা হলেন- মোখলেছুর রহমান মুকুল, সাইদুর রহমান রতন, শামসুল হক ফকির, নুরুল হক ফকির, সুলতান মাহমুদ ফকির ও নকিব হোসেন আদিল সরকার।
এদিকে গত ৩০ জানুয়ারি মোখলেছুর রহমান মুকুল ও নকিব হোসেন আদিল সরকারকে রাজধানীর দক্ষিণখান ও সাভারের আশুলিয়া এলাকা থেকে আটক করে র্যাব। সর্বশেষ গতকাল রাতে পলাতক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সুলতান মাহমুদ ফকিরকেও আটক করা হয়। তবে এ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আরও ৩ আসামি এখনও পলাতক রয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। ফলে গ্রেফতার এড়াতে সুলতান মাহমুদ ফকির নিয়মিত তার অবস্থান পরিবর্তন করতেন এবং মোবাইল ফোন ব্যবহার করতেন না।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২৩
এফআর