ঢাকা: রাজধানীরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় একাধিক অভিযান চালিয়ে ১৯ হাজার ৭৩১ কেজি চোরাই রডসহ আন্তঃজেলা রড চোর চক্রের ২ মূলহোতাসহ ৮ সদস্যকে আটক করেছে র্যাব-৪।
তারা হলেন- মো. রাসেল (২৮), মো. আহাদ কাজি (২৪), মো. আওয়াল (৩০), মো. হামিদ (২৮), মো. ছোটন মিয়া (২২), মো. মোশাররফ হোসেন (২০), মো. নাসিম (১৮), মো. শহিদুল ইসলাম (৫৩)।
অভিযানে তাদের কাছ থেকে ১৯ হাজার ৭৩১ কেজি চোরাই রড উদ্ধারসহ রড পরিবহনে ব্যবহৃত একটি ট্রাক জব্দ করা হয়।
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) র্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল মোহাম্মদ আবদুর রহমান বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গত শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) থেকে রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত রাজধানীর মিরপুরের দারুসসালাম, ফরিদপুর, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী এলাকায় একাধিক অভিযান চালিয়ে দুটি চক্রের মোট ৮ জনকে আটক করা হয়।
র্যাব-৪ এর সিও জানান, গত ২৩ জানুয়ারি চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড থেকে ১৩ টন রড নিয়ে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া এলাকায় যাওয়ার পথে তা চুরি হয়ে যায়। এই ঘটনায় মালিকপক্ষ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে সীতাকুন্ড থানায় একটি চুরির মামলা করেন।
তিনি জানান, র্যাব-৪ এই রড চুরির ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও আসামিদের আটকে ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১০ ফেব্রুয়ারি রাতে ফরিদপুর, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫ হাজার ৭৩১ কেজি চোরাই রড উদ্ধার ও আন্তঃজেলা চোরচক্রের মূলহোতাসহ ৪ সদস্যকে আটক করা হয়।
তিনি আরও জানান, গ্রেফতার আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, মো. ছোটন চোর চক্রের মূলহোতা। তার চক্রে রয়েছে কয়েকজন সক্রিয় সদস্য। তিনি মোশাররফ, নাসিম ও শহিদুলের যোগসাজশে চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড থেকে রড নিয়ে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া এলাকায় যাওয়ার পথে তা চুরি করে ফরিদপুর জেলার সদরপুর থানা এলাকার একটি দোকানে সব রড বিক্রি করে দেন।
এছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, কারখানা থেকে ট্রাকযোগে রড এক জেলা থেকে অন্য জেলায় পরিবহনের সময় আংশিক রড খোয়া যায়। এমনকি মাঝে মাঝে ট্রাকের ড্রাইভার ও হেলপার মিলে সম্পূর্ণ রড গায়েব করে ফেলে।
এমন অভিযোগের ভিত্তিতে রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে দারুসসালাম এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৪ হাজার কেজি চোরাই রড জব্দ ও আন্তঃজেলা চোরচক্রের মূলহোতাসহ ৪ সদস্যকে আটক করা হয়।
তিনি জানান, আটক আসামিরা জানিয়েছে চক্রের মূলহোতা রাসেল। তারা রাসেলের নির্দশে দেশের বিভিন্ন রড কারখানা থেকে ক্রেতাদের কাছে রড পরিবহনের সময় নির্জন স্থানে ট্রাক থামিয়ে আংশিক এবং কোনো কোনো সময় সম্পূর্ণন রড চুরি করতেন। তাদের সবার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় চুরির মামলা রয়েছে।
গ্রেফতার আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান এই র্যাব কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৩
এসজেএ/এমএমজেড