মাদারীপুর: মাদারীপুরে কষ্টিপাথরের বিষ্ণু মূর্তি রাখায় ২০১৪ সালে র্যাবের দায়ের করা মামলায় দুইজনকে ৫ বছর করে কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে প্রত্যেকের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে এ রায় দেন আদালত।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের চরগোবিন্দপুর গ্রামের মৃত কালাই ভূঁইয়ার ছেলে আজিজুল ভূঁইয়া (৫৫) ও শিবচর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের চর-বাচামারা গ্রামের মৃত হাজী আবু তাহের ফরাজীর ছেলে মনিরুজ্জামান টুকু ফরাজী (৬০)।
মামলার এজাহারে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৪ অক্টোবর সদর উপজেলার চরগোবিন্দপুর গ্রামের আজিজুল ভূঁইয়ার বাড়িতে ৪০ কেজি ওজনের একটি কষ্টিপাথরের বিষ্ণু মূর্তি মজুদ রাখা আছে এমন খবরে অভিযানে যায় র্যাব। ঘটনাস্থল থেকে ৪ কোটি টাকা মূল্যের ওই বিষ্ণু মূর্তিটি জব্দ করে র্যাবের সদস্যরা।
এ সময় আজিজুল ও মনিরুজ্জামান নামে দুইজনকে আটক করা হয়। পরে র্যাব সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় অভিযুক্ত দুইজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। ২০১৫ সালের ৩১ জুলাই সদর মডেল থানার তৎকালীন এসআই সিরাজুল হক এজাহারনামীয় দুইজনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলির সহায়তায় ছয়জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেয় আদালত। পরে দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে অভিযুক্ত দুইজনকে ৫ বছর করে কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেকের ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ড দেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা প্রথম জজ আদালতের বিচারক লায়লাতুল ফেরদৌস।
মাদারীপুর আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান সিং বলেন, মুসলিম হয়ে হিন্দুদের বিষ্ণু মূর্তি মজুদ রেখে অপরাধ করে আজিজুল ও মনিরুজ্জামান। মূলত অসৎ উদ্দেশ্যে বিক্রির জন্য মূল্যবান কষ্টিপাথরের মূর্তি তারা ঘরে রাখে। আদালত সাক্ষ্যপ্রমাণ ও যুক্তিতর্ক শেষে অভিযুক্ত দুইজনকেই সাজা দেন।
তিনি আরও জানান, বিষ্ণু মূর্তিটি লম্বায় ৩০ ইঞ্চি ও প্রস্ত ১৪ ইঞ্চি। এটি রাষ্ট্রীয় হেফাজতে রয়েছে। এ মামলায় দ্বিতীয় আসামি মনিরুজ্জামান গ্রেফতারের পর উচ্চ আদালত থেকে জামিনের বের হন। এরপর থেকে পলাতক রয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় মামলার প্রধান আসামি আজিজুল ভূঁইয়া হাজির ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৩
আরএ