ঢাকা: রাজধানীর মিরপুরে আন্তজেলা প্রতারক চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য নিশ্চিত করেন মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন।
গ্রেফতাররা হলেন-ফখরুজ্জামান তপু ভূইয়া (৪৫), মো. মোবারক হোসেন (৩৪), মো. খোকন মিয়া (৪৩) ও মো. মুশফিকুর রহমান মুন্সি (৩৫)।
তিনি জানান, ওই চার প্রতারক অভিনব উপায়ে লাখ লাখ টাকার পণ্য হাতিয়ে পালিয়ে যান। তারা কখনও প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান, কখনও ঊর্ধ্বতন কর্মকতা, আবার কখনও ঠিকাদার সেজে বিভিন্ন দোকান থেকে বিপুল পরিমাণ পণ্য কেনেন। এরপর কৌশলে সেসব পণ্য নিয়ে পালিয়ে যান। দেশের এক জেলা থেকে অন্য জেলায় ঘুরে ঘুরে তারা এমন প্রতারণা করেন।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি ইবনে সিনার ঊর্ধতন কর্মকর্তা সেজে ইলেক্ট্রো মার্ট নামের একটি দোকান থেকে ২৫টি কনকা সিলিং ফ্যান কেনেন। এরপর ফ্যানের টাকা চাইলে ক্যাশ নেই উল্লেখ করে একটি চেক প্রদান করেন। কিন্তু ব্যাংকে গিয়ে দেখা যায় অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের স্বাক্ষরের সঙ্গে চেকে করা স্বাক্ষরের কোনো মিল নেই, এমনকি অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের নামের সঙ্গেও মিল নেই। এদিকে এ সুযোগে ফ্যান নিয়ে পালিয়ে যান ফখরুজ্জামান ও তার চক্র। পরে থানায় অভিযোগ করলে মিরপুর মডেল থানা পুলিশের একটি দল গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জে থেকে তাদের গ্রেফতার করে।
এছাড়া প্রতারক ফখরুজ্জামান ও তার চক্রের প্রতারণার মূল হাতিয়ার ছিল পরের জায়গা পরের ভবন। তারা প্রথমে যেকোন একটি নির্মাণাধীন ভবন রেকি করেন। পরে সুযোগ বুঝে নিজেদেরকে সে ভবন নির্মাণের ঠিকাদার পরিচয় দেন। ভবন নির্মাণে ক্যাবল প্রয়োজন বলে পার্শ্ববর্তী দোকান থেকে ক্যাবল কিনে আনেন। এরপর ক্যাশ টাকা নেই বলে তাদেরকে ভুয়া চেক প্রদান করেন। এ চক্র গোপালগঞ্জ থেকে প্রায় সোয়া লাখ টাকার, মৌলভীবাজার থেকে প্রায় এক লাখ টাকার, কিশোরগঞ্জ থেকে প্রায় এক লাখ টাকার, সুনামগঞ্জ থেকে সোয়া লাখ টাকার, মিরপুর থেকে প্রায় ৭৫ হাজার টাকার পণ্য নিয়ে পালিয়ে যান।
এছাড়া ফখরুজ্জামান এক সময় ছিলেন সৌদি আরব। সেখান থেকে অনলাইন আইপিএল জুয়ায় ১০ লক্ষাধিক টাকা খোয়ানোর পর দেশে ফিরে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা শুরু করেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৩
এজেডএস/জেএইচ