বরগুনা: বরগুনার বামনা উপজেলার ছোট ভাইজোড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুজেলন্দ শীলকে (৪২) বিদ্যালয়টির এক সহকারী শিক্ষিকার সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে পুলিশের কাছে তুলে দেয় এলাকাবাসী।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫ টায় প্রধান শিক্ষকের কক্ষ হতে তাদের আটক করা হয়।
এ ব্যপারে এলাকায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা যায়, ওই এলাকার জাহাঙ্গীর চৌকিদারের ছেলে আল আমিন ও স্থানীয় দোকান্দার হাকিম, মিরাজের ছেলে মেহেদী বিদ্যালয়ের মাঠে খেলা করছিল। ওই সময় তারা বিদ্যালয়ের নিচের গেটে তালা দেওয়া দেখতে পায় এবং দোতলায় লোকজনের শব্দ শোনা যাচ্ছিল। পরে ছেলেরা রেলিং বেয়ে দোতলায় উঠে জানালার ফাঁক দিয়ে দেখে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষিকা আপত্তিকর অবস্থায়। প্রধান শিক্ষক টের পেয়ে ছেলেদের দোতলায় উঠার কারণ জানতে চেয়ে হুমকি দেন। ছেলেরা প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলার ফাঁকে শিক্ষিকা কাপড় পরে পালিয়ে যান। ততক্ষণে এলাকার লোকজন জড়ো হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আবু সালেহ বলেন, আমি খবর পেয়ে পুলিশকে খবর দেই। পুলিশ এসে প্রধান শিক্ষক সুজেলেন্দ শীলকে থানায় নিয়ে যায়। রাত ১১টায় উপজেলা শিক্ষা অফিসার নির্মল চন্দ্র শীল মুচলেকা দিয়ে প্রধান শিক্ষককে ছাড়িয়ে নেন। একাধিক এলাকাবাসী জানান, তারা প্রায়ই স্কুল ছুটির পরে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে ওই শিক্ষিকাকে দেখেছেন। তাদেরকে নিষেধ করলেও শোনে না।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক সুজেলেন্দু বলেন, আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। আমি কোনো অন্যায় কাজ করিনি।
বামনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. বশির আলম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রধান শিক্ষক সুজেলেন্দ শীলকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে উপজেলা শিক্ষা অফিসার তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন বলে মুচলেকা দিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার নির্মল চন্দ্র শীল বলেন, আমি প্রধান শিক্ষককে থানা থেকে ছাড়িয়ে এনেছি। আমি সরেজমিনে তদন্ত করে দেখব। ঘটনার সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছি। প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৩
এসএ