নীলফামারী: বিয়ের জন্য চলছিল কেনাকাটা সৈয়দপুরের চাঁদনীর (২৭)। টুকটাক করে আসবাবপত্র কিনে বাসায় আনা শুরু করেছিল পরিবারটি।
একদিকে সব পুড়ে নিঃস্ব, অন্যদিকে চিন্তার কালো মেঘ - মেয়ে চাঁদনীর (২৭) বিয়ে কি হবে?
কূলকিনারা না পেলে কান্না থামছিলনা চাঁদনীর মা- বাবার।
অবশেষে আগুনে সব হারানো সেই মেয়ের বিয়ের দায়িত্ব নিল সৈয়দপুর উপজেলা প্রশাসন।
প্রাথমিকভাবে বিয়ের জন্য চাঁদনীর মা ইয়াসমিনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। সঙ্গে দেওয়া হলো ২ ব্যান্ডেল ঢেউটিন। পরে আরও টিন দেওয়া হবে।
শুধু চাঁদনীর পরিবারকেই নয় গত ১৭ ফেব্রুয়ারি আগুনে সব হারানো ৫ পরিবারকে ২ ব্যান্ডেল করে ঢেউটিন ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।
রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলা পরিষদ চত্বরে বইখাতা পুড়ে যাওয়া অনার্স ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী নওশীন ও ১০ম শেণির ছাত্র তাহার সব বই এবং বিয়ের জন্য নওশীনের পরিবারের হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়।
উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর ও অফিসার্স ক্লাব অব সৈয়দপুরেরর সার্বিক সহযোগিতা সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফয়সাল রায়হান উপস্থিত থেকে ওই সামগ্রী তাদের হাতে তুলে দেন।
এসব সামগ্রী বিতরণকালে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমাসজেসা কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ, কাশিরাম
বেলপুকুর ইউপি চেয়ারম্যা লানচু চৌধুরী, বাঙালিপুর ইউপি চেয়ারম্যান ডা. শাহজাদা প্রমুখ।
সৈয়দপুর শহরের মুন্সিপাড়ায় রেলওয়ে কোয়ার্টারে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বিকেলে লাগা আগুনে ইরাম, নওশীন ও তিশাসহ পাঁচ পরিবারের বসতঘর পুড়ে যায়। স্থানীয় দমকল বাহিনীসহ নীলফামারী, উত্তরা ইপিজেড, তারাগঞ্জ উপজেলার ৬টি ইউনিট দীর্ঘ চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩
এসএএইচ