ঢাকা: সরকারি প্রতিষ্ঠানে যদি কর্মচারীদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত না হয় তাহলে দেশে কীভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে প্রশ্ন করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
শনিবার (২৪ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারী ইউনিয়ন ‘বৈষম্য থেকে মুক্তি চাই, চাকুরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তর চাই’ দাবিতে অনুষ্ঠিত সমাবেশ তিনি এ কথা বলেন।
সমাবেশে সংহতি জানিয়ে জোনায়েদ সাকি বলেন, সরকারি কলেজের বেসরকারিভাবে কর্মরতরা শ্রমিক নাকি কর্মচারী। নাগরিক হিসেবে সরকারি প্রতিষ্ঠানে বছরের পর বছর শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন কিন্তু তাদের নির্দিষ্ট কোনো বেতন কাঠামো নেই। তাদের চাকরির বিধি নেই, নেই কোনো কর্মঘণ্টা, কোনো সুযোগ সুবিধাহীনভাবে দিনের পর দিন তাদের দিয়ে কাজ করিয়ে নিচ্ছেন।
তিনি বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানে যদি কর্মচারীদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত না হয় তাহলে দেশে কীভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে? বেসরকারি কর্মচারীদের দাবি আদায়ের জন্য সংগঠন করার অধিকার দিতে হবে। সব সরকারি প্রতিষ্ঠানে শ্রম আইনানুযায়ী সব সুযোগ প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নিতে হবে। নারীদের মাতৃত্বকালীন ছুটি, উৎসব ভাতা, সুনির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা নিশ্চিত করতে হবে। চাকরির নিশ্চিতয়তা প্রদানের জন্য নিয়োগপত্র দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, যদি এসব প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ হয় তাহলে যারা বেসরকারিভাবে কর্মরত আছেন তাদের বয়স শিথিল করে নিয়োগে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, বর্তমান সরকার মানুষের দাবি পূরণের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। শিক্ষা উপদেষ্টা দ্রুত তাদের দাবি পূরণে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন।
সমাবেশে শেষে শিক্ষা উপদেষ্টার সাথে দেখা করে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারী ইউনিয়নের আহ্বায়ক এহসানুল কবীর, সদস্যসচিব রুহুল আমীন হাওলাদার।
আরকেআর/এএটি