ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মাদক সেবনে বাধা, ঘুমন্ত চাচাকে কোপালো ভাতিজা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২২ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০২৩
মাদক সেবনে বাধা, ঘুমন্ত চাচাকে কোপালো ভাতিজা

মাদারীপুর: মাদারীপুরে মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় ঘুমন্ত চাচাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে ভাতিজা।  

শনিবার (৪ মার্চ) বিকেলে সদর উপজেলার ছিলারচর ইউনিয়নের হাওলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

 

গুরুতর জখম হওয়া চাচার নাম মজিবুর আকন (৬০)। তিনি একই এলাকার মৃত জয়নুদ্দিন আকনের ছেলে। এদিন (৪ মার্চ) সন্ধ্যায় তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মজিবুর আকন শনিবার (৪ মার্চ) দুপুরে খাবার খেয়ে তার ঘরের একটি কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন। ঘরের পাশেই তার ভাতিজা ইকবাল আকন থাকেন। বিকেল ৪টার দিকে ইকবাল তার চাচার ঘরে গিয়ে ধারালো অস্ত্র (রাম দা) দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। এসময় মজিবুরের আর্তচিৎকারে ইকবালের বাবা আব্দুর রাজ্জাক আকনসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা দ্রুত গিয়ে তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।  

সেখানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্ত্যবরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য মজিবুরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।

মাদারীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা শাওলিন আফরোজ বলেন, ওই ব্যক্তিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপানো হয়েছে। তার হাতে, পায়ে, ঘাড়ে, বুকে ও মাথায়সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে বড় ধরণের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে আমরা ঢামেক হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছি।

ভুক্তভোগীর ভাই ও অভিযুক্তের বাবা আব্দুর রাজ্জাক আকন বলেন, আমার সঙ্গে আমার ভাইয়ের কোনো ঝগড়া-বিবাদ নাই। কোনো দ্বন্দ্ব নাই। আমার ভাইয়ের কোনো দোষ নাই, সে নির্দোষ। আমার ছেলে আমার ভাইকে কোনো কারণ ছাড়াই কোপাইছে। আমার ছেলে এখন কোথায় আছে জানি না। কেন এমন কাজ করলো তাও জানি না। আমার আপন ভাইকে যে কোপাইতে পারে, এমন ছেলে আমার লাগবে না। ওর বিচার হোক।

মজিবুর রহমানের আরেক ভাজিতা আল-আমিন বলেন, ইকবাল নেশাগ্রস্ত ও মানসিক রোগী। মাথা এই ভালো, এই খারাপ। আমার চাচা (মজিবুর) ওরে শাসন করতো। নেশা করতে না করতো। তবে ইকবাল এতদিন ভালোই ছিল। হঠাৎ কী কারণে চাচার ওপরে এভাবে ক্ষেপে গেল, আর কোপাইলো; সেটা আমরাও বুঝতেছি না।

মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ভাতিজা তার চাচাকে কুপিয়েছে। তবে কি কারণে কোপালো তা এখনো আমরা নিশ্চিত নই। অভিযুক্ত ইকবালের সঙ্গে ওর চাচার কোনো পূর্ব শত্রুতা আছে কি-না, সেটাও দেখা হচ্ছে। তবে আমাদের ধারণা, ইকবাল মাদকাসক্ত বা মানসিক রোগী। পুলিশ তাকে ধরতে কাজ করছে।

বাংলাদেশ সময়: ২২০১ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০২৩
এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।