ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

টেকসই শান্তি অর্জনে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রয়াসের বিকল্প নেই: স্পিকার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২৩
টেকসই শান্তি অর্জনে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রয়াসের বিকল্প নেই: স্পিকার

ঢাকা: টেকসই শান্তি ও সম্প্রীতি অর্জনে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রয়াসের কোনো বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

সোমবার (১৩ মার্চ) ১৪৬তম আইপিইউ কনফারেন্স উপলক্ষে বাহরাইনের রাজধানী মানামার এক্সিবিশন ওয়ার্ল্ড বাহরাইনের প্ল্যানারি গ্র্যান্ড হলে আয়োজিত ‘প্রোমোটিং পিসফুল কো-এক্সিসটেন্স অ্যান্ড ইনক্লুসিভ সোসাইটিজ: ফাইটিং ইনটোলারেন্স’ শীর্ষক জেনারেল ডিবেটে অংশগ্রহণ করে তিনি এ কথা বলেন।

স্পিকার বলেন, বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) নেতৃত্বের ভূমিকা রেখে চলেছে। সংঘর্ষ ও সহিংসতা পরিহার করে বিশ্বের সব জাতির পরিশুদ্ধির জন্য আইপিইউ’র এ আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ। এ ধরণের সেমিনার বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের নিজস্ব মতামত প্রকাশ ও সমস্যা সমাধানে সম্মিলিত প্রচেষ্টার জন্য সহায়ক। টেকসই শান্তি ও সম্প্রীতি অর্জনে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রয়াসের বিকল্প নেই। সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা ও বৈষম্য নির্মূলের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও মানবতার ঘোষণার বাস্তবায়ন সম্ভব। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, সংস্কৃতি কখনো বৈষম্যের ভিত্তি হতে পারে না।

স্পিকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বাঙালি জাতিকে অন্যায়, অবিচার ও সকল প্রকার বৈষম্যের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দিয়েছিলেন। তার ডাকে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশের মানুষ মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জন করে স্বাধীনতা। সকল প্রকার জাতি ও বর্ণগত বৈষম্য দূরীকরণের এজেন্ডা বাংলাদেশ সর্বদা সমর্থন করে আসছে।

শিরীন শারমিন চৌধুরী আরও বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান ধর্ম, লিঙ্গ, জন্মস্থান নির্বিশেষে দেশের সব নাগরিকের সমতা নিশ্চিত করে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাংলাদেশের মানুষের গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্য। বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষ শান্তি ও সম্প্রীতির সাথে বসবাস করে থাকে। অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার ধর্মীয় সম্প্রীতি ও শান্তিকে উৎসাহিত করে। অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ লিঙ্গ, শ্রেণী, ধর্ম, ভৌগোলিক সীমানার ঊর্ধ্বে সকল জাতির জন্য সমতাভিত্তিক সুযোগ-সুবিধা নির্দেশ করে। লিঙ্গসমতা নিশ্চিতকরণ ও লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণ অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ নির্মাণের পূর্বশর্ত। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুন্দর সবুজ, শান্তিপূর্ণ বিশ্ব নির্মাণে সকলকে একযোগে কাজ করে যেতে হবে। সংসদীয় কূটনীতি এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

জেনারেল ডিবেটে অস্ট্রেলিয়া, মিশর, জাম্বিয়া, মালাউই, ইয়েমেন, জিম্বাবুয়ে, সেনেগাল, আফগানিস্তান, সিয়েরা লিওন, মালদ্বীপ, বতসোয়ানা, নাইজার, ডেনমার্ক, হাঙ্গেরি, এস্তোনিয়া, মালি, স্পেন, ইউক্রেন, স্লোভেনিয়া ও অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন। জেনারেল ডিবেটে সংসদ সদস্য শাহে আলম, রাজী মোহাম্মদ ফখরুল, উম্মে কুলসুম স্মৃতি , রাহগির আল মাহি এরশাদ, উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২৩
এসকে/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।