ময়মনসিংহ: বিয়ের প্রলোভনে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে পুলিশ সদস্য মো সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি ওই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের (এসপি) কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
দীর্ঘ দুই মাস পেরিয়ে গেলেও ওই তদন্তে এখনও কোনো অগ্রগতি হয়নি বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী।
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার বাসিন্দা। উপজেলার নয়নপুর গ্রামের সামছুদ্দিনের ছেলে তিনি। বর্তমানে তিনি হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার কামাইছড়া পুলিশ ক্যাম্পে কর্মরত।
এনিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে মিশ্রপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, পুলিশ সদস্যের পক্ষ নিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে তদন্তকাজে গড়িমসি করছেন তিনি।
তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তা খলিলুর রহমান। তিনি বলেন, অভিযোগ বিষয়ে তদন্ত কাজ চলছে। তদন্ত শেষে এবিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে।
ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ভুক্তভোগী নারী থানায় এসেছিলেন। শুনেছি অভিযোগের বিষয়ে ওই পুলিশ সদস্যের কর্মস্থলে তদন্ত চলছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পুলিশ সদস্য সাইফুল ইসলামের সঙ্গে প্রায় এক বছর আগে ফেসবুকে পরিচয় হয় পাশের গ্রামের এক নারী। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠলে সাইফুল ইসলাম ছুটিতে আসা-যাওয়ার পথে ওই নারীর বাসায় যাওয়া আসা শুরু করেন।
এরপর ওই নারীকে বিয়ের আশ্বাসে বিভিন্ন রির্সোট ও আবাসিক হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করেন সাইফুল। তবে গত কয়েক মাস ধরে তিনি ওই নারীকে এড়িয়ে চলতে শুরু করলে তাদের মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে জানতে পুলিশ সদস্য সাইফুল ইসলামের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় জেনে তিনি ফোন কেটে বন্ধ করে দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২৩
এসএএইচ