ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সড়কের পাশে মরদেহ, ১৪ মামলার আসামি গ্রেফতার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২৩
সড়কের পাশে মরদেহ, ১৪ মামলার আসামি গ্রেফতার গ্রেফতার নুর নবী

চাঁদপুর: চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার মতলব-গৌরীপুর সড়কের নাগদা এলাকায় দেলোয়ার হোসেন মিলন নামে ব্যক্তিকে হত্যার পর মরদেহ ফেলে যাওয়ার ঘটনায় ১৪ মামলার আসামি মো. নুর নবীকে (৩০) গ্রেফতার করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৪ মার্চ) সকালে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ে কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক মীর হাবিবুর রহমানসহ একটি বিশেষ দল কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার পৌরসভার মোহনা আবাসিক এলাকার চান্দিনা রোড থেকে তাকে গ্রেফতার করেন।

গ্রেফতার নুর নবী নোয়াখালী জেলার হাতিয়া থানার পশ্চিম বড় দেইল গ্রামের আলা বক্স পাটওয়ারী বাড়ির মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে।

বিকেল ৪টায় চাঁদপুর শহরের বাবুরহাট পিবিআই জেলা কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান পিবিআই চাঁদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মোস্তফা কামাল রাশেদ।

তিনি জানান, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আনুমানিক সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মতলব দক্ষিণ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে উপজেলার নাগদা মতলব-গৌরীপুর সড়কের দক্ষিণ পাশের ইউসুফ বেপারীর জমি থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেন। পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ওই ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়। ওই ব্যক্তি নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানার চর মটুয়া গ্রামের জাহির আহম্মেদের ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন মিলন। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়।

এরপর মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআই নিয়মিত তালিকাভুক্ত হয়। মামলার তদন্তকারী নিয়োগ হন পিবিআই পুলিশ পরিদর্শক মীর হাবিবুর রহমান। এরপর পিবিআই অ্যাডিশনাল আইজিপি বনজ কুমার মুজমদারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং পুলিশ সুপারের নেতৃত্ব এবং সহযোগিতায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আসামিকে দেবিদ্বার থেকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ সুপার মো. মোস্তফা কামাল রাশেদ আরও জানান, আসামি নুর নবী মিলন হত্যার সঙ্গে জড়িত বিষয়টি তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় জানা যায়। তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও চাঁদপুর জেলায় খুন, ডাকাতি, দস্যুতা ও চুরির ঘটনায় ১৪টি মামলা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২৩
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।