ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ জুন ২০২৪, ২০ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীদের কান্না সহ্য করা যায় না: প্রধানমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০২৩
বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীদের কান্না সহ্য করা যায় না: প্রধানমন্ত্রী ছবি: ফোকাস বাংলা

ঢাকা: বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করা হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঈদের আগে, রোজার সময় ব্যবসায়ীদের কষ্ট, তাদের কান্না সহ্য করা যায় না। বুধবার (৫ এপ্রিল) গণভবনে পদ্মা সেতু নির্মাণে সরকারি ঋণ পরিশোধের প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তির চেক গ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

 

৩১৬ কোটি ৯০ লাখ ৯৭ হাজার ৪৯ টাকার একটি চেক গ্রহণ করেন সরকার প্রধান। প্রধানমন্ত্রীর হাতে এ চেক তুলে দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। সবচেয়ে কষ্ট লাগে এখানে একবার ১৯৯৫ সালে আগুন লাগে, এরপর ২০১৮ সালে আবার আগুন লেগেছিল। তারপর এখানে আমরা একটা সুপরিকল্পিত মার্কেট করার প্রকল্প নিয়েছিলাম; তখন বেশ কিছু লোক বাধা দেয়। শুধু বাধা দেয়নি, একটা রিটও করে। হাইকোর্ট এটিকে স্থগিত করে দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সে সময় যদি এটা স্থগিত না করতো তাহলে এখানে হয়তো আমরা একটা ভালো মার্কেট তৈরি করে দিতে পারতাম। এ ধরনের ভয়াবহ দুর্ঘটনা তখন হতো না। ঈদের আগে রোজার সময় ব্যবসায়ীদের কষ্ট, তাদের কান্না এটা সহ্য করা যায় না।
 
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহায়তা করা হবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ইতোমধ্যে বলে দিয়েছি আমরা যতটুকু পারি সাহায্য করব, এবং কার কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে সেটা দেখব।


ফায়ার সার্ভিসে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের সময় ফায়ার সার্ভিসে হামলাকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের কিছু লোকের আচরণটা আমাকে খুব ভীত করেছে। যখনই আগুন লেগেছে তখনই ফায়ার ব্রিগেড সেখানে চলে গিয়েছিল আগুন নেভাতে। সেই সঙ্গে পুলিশ, আনসার, ভিডিপি, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ,বিমান বাহিনী প্রত্যেকেই সেই সকাল থেকে কাজ করে যাচ্ছিল।

তিনি বলেন, এরমধ্যে কথা নেই, বার্তা নেই দুপুরের পরে হঠাৎ কিছু লোক লাঠিসোটা নিয়ে এসে হাজির; তারা একেবারে ফায়ার সার্ভিসের অফিসের ভিতরে ঢুকে কয়েকটা গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে; কতগুলো ভাঙচুর করেছে। সেখানে একটা ভীতকর পরিবেশ সৃষ্টি করেছে এটা কেন?

শেখ হাসিনা বলেন, যারা এভাবে লাঠিসোটা নিয়ে গেছে তাদের সবাইকে চিহ্নিত করতে বলেছি। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে, মামলা দেওয়া হবে। ভবিষ্যতে কেউ যদি ফায়ার সার্ভিসের বা কারো ওপর এ ধরনের আক্রমণ করে বা জনস্বার্থে ব্যবহার করা জিনিসের ওপর যদি আঘাত হানে তাদের কিন্তু ছাড় দেওয়া হবে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যতটা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই, পেছন থেকে টানার একটা চেষ্টা আমরা দেখতে পাই। যত বাধাই আসুক বাংলাদেশ যে যাত্রা শুরু করেছে উন্নয়নের অগ্রগতির, এ গতিটা অব্যাহত রেখে আমরা এগিয়ে যাব।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০২৩
এমইউএম/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।