ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ফাঁকা হতে শুরু করেছে রাজধানী

জি এম মুজিবুর, সিনিয়র ফটো করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২৩
ফাঁকা হতে শুরু করেছে রাজধানী

ঢাকা: আর কদিন বাদে ঈদুল ফিতর, এ উপলক্ষে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে মানুষ। এতে রাজধানী ফাঁকা হতে শুরু করেছে।

পরিপূর্ণভাবে ছুটি শুরু না হলেও ঢাকায় ছুটিভাব দেখা যাচ্ছে। মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর অফিস এলাকাগুলোয় যানবাহনের চাপ লক্ষ্য করা গেলেও দুপুর ১২ টার পর থেকে কমে যেতে শুরু করে।

রাজধানীর ব্যস্ত রাস্তাগুলো এখন প্রায় ফাঁকা। বিশেষ করে বিজয় স্মরণী থেকে তেজগাঁও, মহাখালী, বনানী, ফার্মগেট এলাকা ঘুরে এ পরিস্থিতি দেখা গেছে।

মঙ্গলবার কার্যত সরকারি অফিসে শেষ কার্যদিবস। যারা ঈদের ছুটিতে যাচ্ছেন, তাদের মধ্যে অনেকেই অগ্রিম ছুটি নিয়েছেন। এদিক, এবার ঈদের ছুটি পাঁচ দিন, রোজ যদি ৩০টি হয়, ছুটি বাড়বে আরও একদিন।

সন্ধ্যা থেকে রাজধানীর মানুষ বাড়ি ফিরতে শুরু করলে যানজট হতে পারে বাস টার্মিনাল কেন্দ্রিক এলাকাগুলোয়। সকালে যেসব বাস রাজধানী থেকে বেরিয়ে যায়, সে সময় কিছুটা যানজট দেখা দেয়। আবার যে বাসগুলো বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এসে ঢাকা ঢুকছে সেগুলোকে জায়গা দিতে গিয়েও কিছু সময় যানজট ছিল। বিশেষ করে মহাখালী ও গাবতলি এলাকায় এ পরিস্থিতি বেশি দেখা গেছে।

গুলশান বিভাগের মহাখালী জোটের ট্রাফিক কর্মকর্তা (টিআই) মো. মাসুদ রহমান বাংলানিউজকে বলেন, সকাল থেকে রাজধানীর মানুষ ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছেন। রাজধানীকে যানজট এখন কম। ঢাকাও ফাকা হতে শুরু করেছে। বিকেলের দিক থেকে রাত পর্যন্ত গাড়ির চাপ কিছুটা বাড়তে পারে; কারণ তখন ঢাকার বাইরে থেকে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বাস ঢুকবে।

তিনি আরও বলেন, আগামী দুয়েকদিন আরও চাপ বাড়বে; কারণ গার্মেন্টস এখনো ছুটি হয়নি। চাপ যতটুকু হবে সেটি টার্মিনাল কেন্দ্রিক।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) উপ-পরিচালক প্রশাসন আব্দুর রাজ্জাক বাংলানিউজকে বলেন, ঈদকে সামনে রেখে মানুষ ঢাকা ছাড়ছে। তারপরও আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালত পাঁচটি টার্মিনাল স্পটে কাজ করছে। গাবতলি, সায়দাবাদ, মানিক মিয়া এভিনিউ, মহাখালী ও উত্তরায় তারা দায়িত্ব পালন করছে। আমাদের লক্ষ্য রাজধানী থেকে যারা বেরিয়ে যাচ্ছেন বা আসছেন তাদের সুন্দর যাতায়াত নিশ্চিত করা। আমরা ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছি। ঘরমুখি মানুষের রাজধানী থেকে বের হতে যেন কোনো ভোগান্তি পোহাতে না হয়, আমরা সে চেষ্টা করে যাচ্ছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২৩
জিএমএম/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।