ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে তিন লাখ টাকায় চুক্তি!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩২ ঘণ্টা, মে ৯, ২০২৩
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে তিন লাখ টাকায় চুক্তি!

ঢাকা: ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় টিকিয়ে দিতে ৩ লাখ টাকার চুক্তি। সে অনুযায়ী পরীক্ষার দিন প্রক্সি পরীক্ষার্থীকেও পাঠানো হয় হলে।

ঘটনার দীর্ঘ তদন্ত শেষে অবশেষে প্রায় ৯ মাস পর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) হাতে ধরা পড়ল চক্রের মূলহোতা। জানা যায়, রাকিবুল হাসান ওরফে রাব্বি (২৪) নামে ওই যুবক বিভিন্ন ভর্তি পরীক্ষা ও চাকরির পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেওয়ার চুক্তিতে কাজ করে আসছিলেন।

মঙ্গলবার (৯ মে) রাজধানীর খিলগাঁও থানাধীন সিপাহীবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি জানান পিবিআই এসআইঅ্যান্ডও (অর্গানাইজড ক্রাইম-দক্ষিণ) বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার জাহান।

তিনি জানান, ২০২২ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে বি ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) পরীক্ষার্থী সেজান মাহফুজের হলে প্রক্সি পরীক্ষার্থী হিসেবে মো. আকতারুল ইসলামকে পাঠানো হয়।

সেই ঘটনায় গত ১৩ আগস্ট কোতয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করে জবি কর্তৃপক্ষ। বাদী পক্ষের আবদনের প্রেক্ষিতে মামলাটি পিবিআইতে তদন্তের জন্য আসে।

গত ৩ মে থেকে মূলহোতাকে ধরতে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়। এরই ধারাবাহিকতায় চক্রের মূলহোতা রাকিবুল হাসান ওরফে রাব্বিকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, পরীক্ষার্থী সেজান মাহফুজের সঙ্গে তিন লাখ টাকায় চুক্তি হয় রাব্বির। সে অসুযায়ী সেজানের পরিবর্তে পরীক্ষা দিকে হলে  আকতারুলকে পাঠানো হয়।

গ্রেফতার রাব্বিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি বলেন, সে বিভিন্ন এজেন্টের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা, সরকারি-বেসরকারি নিয়োগ পরীক্ষায় প্রার্থীদের সঙ্গে লিখিত বা ভাইবায় পাস করিয়ে দেওয়ার চুক্তিতে কাজ করেন।

এসব চুক্তির অংশ হিসেবে বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সি পরীক্ষার্থীদের হলে পাঠাতেন রাব্বি। আর এসব অবৈধ লেনদেনের জন্য বিভিন্ন জনের ব্যাংক একাউন্ট, বিকাশ ও এসএ পরিবহনের মানি ট্রান্সফার সার্ভিস ব্যবহার করে থাকেন।

গ্রেফতার রাব্বিকে আদালতে হাজির করা হলে তিনি দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।

তার সঙ্গে বড় একটি জালিয়াতি চক্র জড়িত আছে। এ বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার জাহান।

বাংলাদেশ সময়: ২২৩০ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০২৩
পিএম/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।