ভোলা: ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে ভোলার উপকূলের আবহাওয়া বৈরী হয়ে উঠেছে। কখনও ঝড়ো বাতাস; কখনও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাতাসের গতিবেগ দেখে ভয়ে আছেন তারা। ধারণা করছেন দ্বীপচরগুলো তলিয়ে যেতে পারে।
বাসিন্দাদের অবস্থা জানতে সিপিপি, রেডক্রিসেন্ট ও ছাত্রলীগের বেশ কয়েকটি টিম সকাল থেকে টহল দিয়েছে।
নাছির মাঝি এলাকার বাসিন্দা মহিউদ্দিন বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, বাঁধ নিচু থাকায় জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা রয়েছে। তাই উপকুল থেকে অনেক মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে চলে গেছেন।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী হাসানুজ্জামান জানিয়েছেন, জেলার ৩৩৪ কিলোমিটার বাঁধ সুরক্ষিত আছে। এতে সমস্যা না হওয়ারই কথা। তবে পানির উচ্চতা বাড়লে নিচু এলাকা প্লাবিত হতে পারে।
সাগর উপকূলের ঢালচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালাম হাওলাদার বলেন, এখানকার মানুষ চরম ঝুঁকিতে আছেন। অনেকেই নিরাপদ অবস্থানে চলে গেছেন। তা ছাড়া সকাল থেকে মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে আনা হয়েছে। বেশিরভাগ জেলে ফিরে এসেছেন। কিন্তু অনেকেই গভীর সমুদ্রে আছেন। তারা যেকোনো দুর্ঘটনায় পড়তে পারে, এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক তৌফিক এলাহী চৌধুরী বলেছেন, মোখা মোকাবিলার সব প্রস্তুতি জেলা প্রশাসন নিয়েছে। সকাল থেকে শুনছি বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাব কম হবে। সেটি হলে ক্ষয়ক্ষতি কম হবে বলে আশা করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৬ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২৩
এমজে