বরিশাল: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোখার কোনো প্রভাব এখনও দেখা যাচ্ছে না বরিশালে। গত দুদিন ধরে জেলার আকাশ কখনও মেঘলা আবার কখনও রৌদ্রজ্জ্বল যাচ্ছে।
শনিবার (১৩ মে) বিকেল বরিশালের আবহাওয়া গুমোট ছিল। তবে রোববার (১৪ মে) সকাল থেকে আকাশ কিছুটা মেঘলা, পাশাপাশি বাতাসের গতিও বেড়েছে।
বিভাগীয় আবহাওয়া অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক মাজাহারুল ইসলাম বলেন, মোখার প্রভাব এখনও দেখা যাচ্ছে না। তবে দুপুরের পর বৃষ্টির সম্ভাবনা ছিল। যদিও এখনও সেটি হয়নি।
এদিক মোখা মোকাবিলায় আগে থেকেই সজাগ আছে প্রশাসন। বরিশাল থেকে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) এ সিদ্ধান্ত পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জারি থাকবে। বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা মো. আব্দুর রাজ্জাক এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ছোট-বড় সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে।
বরিশাল সদর নৌ-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল জলিল বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে প্রতিটি স্থানে মাইকিংয়ের মাধ্যমে মাছ ধরার নৌকা, যাত্রীবাহী ট্রলারসহ সবাইকে নিরাপদ স্থানে যেতে বলা হয়েছে। মোখা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে বলেও তিনি জানান।
রোববার সকালের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, বিভাগের ৩১০১টি আশ্রয়ণ কেন্দ্রে এখন পর্যন্ত ১৯ হাজার ১৮৬ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার আমিন উল আহসান জানিয়েছেন, বিভাগের মধ্যে এখন পর্যন্ত বরিশাল ছাড়া পাঁচ জেলার আশ্রয়ণ কেন্দ্রগুলোয় ৮ হাজার ৫০ জন পুরুষ, ৮ হাজার ৭২৭ জন নারী ও ২ হাজার ৪০৯ শিশু আশ্রয় নিয়েছে।
পটুয়াখালী জেলায় ১ হাজার ৪৯৪ জন, ভোলায় ১১ হাজার ৭৪৩ জন, পিরোজপুরে ৩ হাজার ৪১৬ জন, বরগুনায় ১ হাজার ৭৮৬ জন ও ঝালকাঠিতে ৭৪৭জন আশ্রয় নিয়েছে। মানুষের পাশাপাশি গবাদি পশু আছে ৪ হাজার ৭৯৪টি। বিভাগের সব আশ্রয়কেন্দ্রে কয়েক লাখ মানুষ অবস্থান করতে পারবে। তাদের শুকনো খাবারসহ নগদ অর্থের ব্যবস্থা রয়েছে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকাল থেকে আবহাওয়ার পরিস্থিতি দেখে অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২৩
এমএস/এমজে