মাগুরা: একটি মামলার প্রধান আসামিকে কোথাও খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ। মামলার পর ১২ দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ তাকে আটক করতে পারেনি।
পুলিশ বলছে, গা-ঢাকা দিয়েছেন অথচ সেই প্রধান আসামিকে মঙ্গলবার (২৩ মে) সকালে দেখা গেল থানার পাশেই উপজেলা সদরে আওয়ামী লীগের একটি বিক্ষোভ মিছিলের প্রথম সারিতে অংশ নিয়েছেন।
মিছিলে অংশ নেওয়া ওই আসামির ছবি ও ভিডিও এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল। অথচ এরপরও পুলিশ তাকে খুঁজে পাচ্ছে না।
ঘটনাটি মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলা সদরের। পুলিশের সামনেই ঘুরে বেড়ানো ওই আসামির নাম মো. আব্দুল মতিন শেখ। তাকে স্থানীয় যুবলীগ কর্মী বলে জানিয়েছেন অনেকে।
একটি মামলার প্রধান আসামি হয়েও থানার অদূরে উপজেলা সদরে কীভাবে মিছিলে অংশ নেওয়া সম্ভব - সে প্রশ্ন অনেকের।
জানা গেছে, গত ৮ মে কয়েকজন যুব ঐক্য পরিষদের শ্রীপুর শাখার সভাপতি রথীন্দ্রনাথ রায়কে বেদম মারধর করে গুরুতর আহত করেন মতিন শেখ। এসময় মতিনের সহযোগী কয়েকজন হামলায় অংশ নেয়। এ ঘটনায় ১০ মে শ্রীপুর থানায় মামলা হয়। মারধরে আহত হয়ে টানা ১৪ দিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িও ফিরেছেন ভুক্তভোগী রথীন্দ্রনাথ। কিন্তু পুলিশ এখনবধি প্রধান আসামি মতিন আটক করতে পারেনি।
ভুক্তভোগী ও মামলার বাদী রথীন্দ্রনাথ রায় অভিযোগ করে বলেন, যুবলীগ কর্মী মো. আব্দুল মতিন দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় অন্যায় অত্যাচার করে আসছেন। সম্প্রতি একটি ধর্মীয় সভা করাকে কেন্দ্র করে সহযোগী নিয়ে আমার ওপর হামলা করেন মতিন। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের নামে ১০ মে শ্রীপুর থানায় একটি মামলা করি। মামলার এতোদিন পার হয়ে গেলেও প্রধান আসামি প্রকাশ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক সভা সমাবেশ করছে। অথচ পুলিশ তাকে আটক করছে না। আমি আমার ওপর হামলাকারীদের বিচারের দাবি জানাই।
এঘনায় অভিযুক্ত প্রধান আসামী আব্দুল মতিনের ফোনে যোগাযোগ করলে তার ফোন নাম্বার বন্ধ পাওয়া।
এদিকে আব্দুল মতিন যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নয় বলে দাবি করেছেন মাগুরা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ফজলুর রহমান।
তিনি বলেন, আব্দুল মতিন যুবলীগ কর্মী নয়। যুবলীগের কোনো পদ নেই তার। তার নামে শ্রীপুর থানায় মামলা হয়েছে। আমি শুনেছি হিন্দু সম্প্রদায়ের এক নেতা ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
মামলার প্রধান আসামিকে কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না প্রশ্নে মাগুরা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সাকেল) দেবাশীষ সরকার বলেন, ওই মামলায় আমরা ৭ জনকে আটক করেছি। বাকিদের আটকের প্রক্রিয়া চলছে। মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তাতারের চেষ্টা চলছে। আর ওই সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সংঘর্ষে ওই ৭ জনের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মিলেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৭ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০২৩
এসএএইচ