ঢাকা: নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার আমির আনিসুর রহমান ওরফে মাহমুদ দেশের ভেতরেই আছেন। তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাননি।
মঙ্গলবার (৬ জুন) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন র্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, নতুন এই জঙ্গি সংগঠনের আমির কে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হচ্ছে না কেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি আমিরের নির্দেশেই সংগঠনের সদস্যরা সব করছেন। আমরা আমিরের অবস্থান জানতে প্রতিনিয়ত কাজ করছি। যতটুকু তথ্য আছে তাদের আমির আনিসুর রহমান ওরফে মাহমুদ দেশের অভ্যন্তরেই আছেন। তাকে আইনের আওতায় আনতে র্যাবের ইন্টেলিজেন্স উইং কাজ করছে।
কী পরিমাণ সদস্য এই দলে আছে? এমন প্রশ্নের জবাবে র্যাবের কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে ৫৫ জনের নাম দিয়েছি। আমাদের ধারণা এখন পর্যন্ত তাদের সদস্য সংখ্যা শতাধিক রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে সদস্য সংখ্যা বলা কঠিন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধারাবাহিক অভিযানের কারণে তারা আত্মগোপনে আছেন। তবে সদস্য সংখ্যা সঠিকভাবে বলা যায় না। অনেকে গোপনে সদস্য হয়ে আছেন কিন্তু অভিযানের কারণে চুপচাপ রয়েছেন। জঙ্গি রাকিব, মাঈনুলের মাধ্যমে একটা দল সদস্য হয়েছে। তাদের মধ্যে এধরনের চেইন আছে।
এদিকে, র্যাব বলছে, জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া সংগঠনের আমির আনিসুর রহমান ওরফে মাহমুদের সঙ্গে কেএনএফ প্রধান নাথান বমের সুসম্পর্ক ছিল। নাথান বমের সঙ্গে তাদের অর্থ বিনিময়ের চুক্তি হয়। এরপর তারা পাহাড়ে আশ্রয়, অস্ত্র ও রসদ সরবরাহ এবং সশস্ত্র প্রশিক্ষণ দেয়। অনেক সময় কেএনএফ-এর প্রধান নাথান বম, বাংচুং, রামমোয়, ডিকলিয়ান, পাহল ও কাকুলিসহ অনেকেই প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে আসতো। এ জঙ্গি দলটির কাছে অস্ত্রও আছে।
আগামী নির্বাচনকে ঘিরে নতুন জঙ্গি দলকে রাজনৈতিক কোনো দল কাজে লাগাতে পারে কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোনো রাজনৈতিক দল তাদেরকে ব্যবহার করবে। আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত এমন তথ্য নেই। দেশের মানুষ কখনও জঙ্গিদের প্রশ্রয় দেয় না। সাধারণ মানুষের সহায়তা ছিল বলেই, জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে র্যাব অনেকটা সফল। কোনো রাজনৈতিক দল যদি তাদের ফায়দা নেওয়ার জন্য জঙ্গিদের কাজে লাগায় এটা তাদের ভুল সিদ্ধান্ত। দেশের জনগণ তাদের মেনে নেবে না।
নির্বাচন ঘিরে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা আছে কি না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, জঙ্গিদের মুভমেন্ট বা কোনো কর্মকাণ্ডের তথ্য পেলেই আমরা সঙ্গে সঙ্গে আইনের আওতায় আনছি। নির্বাচন ঘিরে কোনো তৎপরতা আছে এমন তথ্য আমাদের কাছে নেই।
তবে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে জঙ্গি সংগঠনের কাছে দেশ-বিদেশ থেকে অর্থ আসছে। এ ব্যাপারে আমরা বেশকিছু তথ্য পেয়েছি। পার্বত্য চট্টগ্রামে যেসব অর্থ পাঠানো হয়েছে, তাও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০২৩
এসজেএ/এসএম