ঢাকা, বুধবার, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দুই পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার-বিচার দাবিতে বাদীর সংবাদ সম্মেলন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৭ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২৩
দুই পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার-বিচার দাবিতে বাদীর সংবাদ সম্মেলন

ঝালকাঠি: ঝালকাঠির নলছিটিতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে হত্যাচেষ্টা ও যৌন হয়রানি মামলার আসামি দুই পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে বাদী জাহানুর বেগম সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তিনি উপজেলার বিন্দুঘোষ গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেন স্ত্রী।

 

শুক্রবার (১৬ জুন) উপজেলা শহরের বাইপাস সড়কে একটি বাসায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে জাহানুর বেগম বলেন, জমি নিয়ে একই গ্রামের মোসলেম আলি হাওলাদারের ছেলে পুলিশ সদস্য হুমায়ুন কবির, বরিউল ইসলাম রুবেল ও আনসার সদস্য হেমায়েত উদ্দিনের সঙ্গে তার পরিবারের বিরোধ রয়েছে। ঈদুল ফিতরের সময় ওই তিনজন ছুটিতে বাড়ি আসেন। গত ২৪ এপ্রিল দুপুরে বিন্দুঘোষ গ্রামের হাওলাদার বাড়ির কালভার্টের ওপর স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মধ্যস্থতায় সালিশ বৈঠক চলাকালে ওই তিন ভাই ও তাদের স্ত্রী-সন্তানরা দেশীয় অস্ত্র, রড ও লাঠি-সোটা নিয়ে জাহানুর বেগম ও তার পরিবারের সদস্যের ওপর অতর্কিতে হামলা চালিয়ে ৫/৬ জনকে গুরুতর জখম করে। একপর্যায়ে হামলাকারীরা জাহানুর বেগমকে যৌন হয়রানি করে। এসময় তার চিৎকার শুনে এলাকার লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা জাহানুর বেগমের পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জাহানুর বেগমের স্বামী তোফাজ্জল হোসেন ও দেবর ওমর ফারুক রাকিবের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চিকিৎসক তাদের বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।  

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ওইদিন হামলার খবর শুনে নলছিটি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও হামলাকারীরা পুলিশে চাকরি করায় তাদের আটক করেনি। এরপর তিনি নলছিটি থানায় এজাহার দায়ের করতে গেলে রহস্যজনক কারণে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। আহতদের চিকিৎসা শেষে গত ২ মে জাহানুর বেগম বাদী হয়ে ঝালকাঠির সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নালিশি মামলা করলে বিচারক নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নালিশি দরখাস্তটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশে পুলিশ মামলা নিলেও কোনো আসামি গ্রেপ্তার করেনি। কয়েকজন আদালতে হাজির হয়ে জামিন নিয়েছেন। মামলার মূল আসামিরা জামিন না নিয়ে নির্বিঘ্নে কর্মস্থলে চাকরি করছেন। একজন পুলিশ কর্মকর্তা বাদীকে মামলা তুলে আসামিদের সঙ্গে আপস করার পরামর্শও দিয়েছেন।  

জাহানুর বেগম বলেন, ওই পুলিশ সদস্যরা পরিবারের লোকজনকে বাদী বানিয়ে তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করে হয়রানি করে আসছে। তিনি ওই দুই পুলিশ সদস্যসহ মামলার মূল আসামিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নলছিটি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তানজিলুর রহমান বলেন, মামলার পাঁচ আসামি জামিনে আছেন। বাকি আসামিরা তাদের কর্মস্থলে রয়েছেন। এলাকায় না থাকায় তাদের গ্রেপ্তার করা যায়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১২০৫ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২৩

আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।