গাজীপুর: গাজীপুর সদর উপজেলার শিরিরচালা এলাকায় বোন-নানীকে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সৎ ভাইয়ের বিরুদ্ধে। পরে তাদের আহত অবস্থায় ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার (১৮ জুন) দুপুরে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
দগ্ধরা হলেন- গাজীপুর সদর উপজেলার শিরিরচালা এলাকার শফিকুল ইসলামের মেয়ে সানজিদা আক্তার (১৩) ও তার নানি বেবী বেগম (৫৫)।
পুলিশ ও ভিকটিমের স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, সানজিদা আক্তারের মা মারা যাওয়ার পর তার পিতা শফিকুল ইসলাম দ্বিতীয় বিয়ে করেন। তার দ্বিতীয় স্ত্রীর মনিরা বেগমের প্রথম পক্ষের শুভ মিয়া (২০) নামে এক ছেলে রয়েছে। শুভ তার মায়ের সঙ্গে শফিকুল ইসলামের বাড়িতে থাকতো। কয়েকদিন আগে শুভ বাড়িতে একটি মেয়ে নিয়ে আসে। এ বিষয়টি সানজিদা আক্তার তার বাবাকে জানায়। পরে সানজিদার বাবা শফিকুল ইসলাম বাড়ি থেকে শুভকে বের করে দেয়। এ ঘটনায় মনিরা বেগমও বাড়ি থেকে চলে গিয়ে স্বামী শফিকুল ইসলামকে তালাকনামা পাঠায়।
পরে শফিকুল ইসলাম তার মেয়ে সানজিদাকে দেখাশোনার জন্য সানজিদার নানিকে বাড়িতে নিয়ে আসে। রোববার দুপুরে নানির সঙ্গে সানজিদা স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল। পথে শুভ ও তার সহযোগী সাব্বির (২৬) মোটরসাইকেলযোগে এসে বোমা সদৃশ্য বস্তুতে পেট্রোল মিশিয়ে আগুন ধরিয়ে সানজিদা ও তার নানির শরীরে ছুড়ে। এতে নানি ও বোন দগ্ধ হয়।
পরে এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে প্রথমে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাদের ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইউনিট হাসপাতালে রের্ফার করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটের জরুরি বিভাগের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, দগ্ধ বোন-নানির অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের শরীর ৬০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহতাব উদ্দিন বলেন, ঘটনায় জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে। তবে রাত ৯টা পর্যন্ত এ ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১৪ জুন ১৮, ২০২৩।
আরএস/ এসএম