ফরিদপুর: ফরিদপুরের বেশ কয়েকটি স্থানে এফবিসিসিআই'র সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা এ কে আজাদের নির্বাচনী পোস্টার ও ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে।
সদর উপজেলার ডিক্রিরচর, নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের ৬ এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ড এবং আলিয়াবাদ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডসহ গেরদা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে সাঁটানো ও ঝোলানো পোস্টার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে।
স্থানীয়দের ধারণা, ওই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের অন্য একটি গ্রুপ যারা একে আজাদের সমর্থক নয়, তারা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে নিন্দা জানাচ্ছেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
এ ব্যাপারে মঙ্গলবার (১১ জুলাই) বিকেলে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন এ.কে. আজাদের ভাগ্নে ফারুকুজ্জামান লিয়ন।
ডিক্রিরচর ইউনিয়নের সিএনবি ঘাট সংলগ্ন আইজউদ্দিন মাতব্বরের ডাংগী গ্রামের মনোয়ার হোসেন বলেন, কয়েকটি স্থান থেকে রাতের বেলা আবু ফকিরের লোকজন একে আজাদের কয়েকটি ফেস্টুন খুলে নিয়ে যায়।
পার্শ্ববর্তী নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের গোলডাঙ্গীর বাসিন্দা আফসার হোসেন বলেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোফাজ্জেল হোসেনের ভাগ্নে রায়হান ও তার সহযোগীরা পোস্টারগুলো ছিঁড়েছে বলে স্থানীয়দের ধারণা।
এব্যাপারে ফরিদপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুসরাত রসুল তানিয়া বলেন, রাজনীতিতে গ্রুপিং থাকবেই কিন্তু কোন সম্মানিত ব্যক্তির ব্যানার ছেড়া বা নষ্ট করা কি কোন রাজনৈতিক শিষ্ঠাচারের মধ্যে পড়ে? একে আজাদ চাচাকে অসম্মানিত করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বঙ্গবন্ধুর ছবিও ছিঁড়ছেন যারা, তারা কীভাবে আওয়ামী. লীগের সৈনিক হতে পারে?
আওয়ামী মোটর শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফরিদপুর জেলা শাখার সভাপতি জামালউদ্দীন কানু বলেন, ফরিদপুরের কৃতি সন্তান একে আজাদের পোস্টার-ব্যানার ছেড়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আজাদ সাহেবের পোস্টারের সঙ্গে জননেত্রী শেখ হাসিনার ছবি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ছবি ছেঁড়ার সাহস কোথায় পায় এরা? এদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী বাবস্থা গ্রহণ করার দাবি করছি।
এ ব্যাপারে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল বলেন, বিষয়টি আমরা জানার পর থেকে প্রত্যেকটি স্পটে পুলিশ পাঠিয়েছি। আমরা অপরাধীদের স্থানীয়দের সহযোগিতা নিয়ে শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২৩
এসএএইচ