ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মোংলায় ৩০ লাখ টাকার কাঁকড়া লুট, এক সপ্তাহ পরে মামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০২৩
মোংলায় ৩০ লাখ টাকার কাঁকড়া লুট, এক সপ্তাহ পরে মামলা

বাগেরহাট: বাগেরহাটের মোংলায় প্রায় ৩০ লাখ টাকা মূল্যের কাঁকড়া লুটের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।  

বিভিন্ন স্থানে ঘুরে প্রতিকার না পেয়ে শনিবার (২৯ জুলাই) রাতে মোংলা থানায় মামলাটি দায়ের করেন ব্যবসায়ী ইসমাইল গাজী।

 

এর আগে গেল ২২ জুলাই গভীর রাতে মোংলার পশুর নদী সংলগ্ন ঘষিয়াখালী চ্যানেলের প্রবেশদ্বারে কার্গোবোট থেকে চার হাজার ২৫৬ কেজি কাঁকড়া লুটে নেয় সন্ত্রাসীরা।

এদিকে মামলার পর আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন মোংলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামসুউদ্দীন।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ইসমাইল গাজী মোংলা উপজেলার সোনাইলতলা ইউনিয়নের উলুবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত ইজাহার গাজীর ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কাঁকড়ার ব্যবসা করছেন।  
ইসমাইল গাজী বলেন, শুক্রবার (২২ জুলাই) গভীর রাতে আমার ছোট ভাই ওসমান গাজী একটি কার্গোবোটে করে সিন্দুরতলা খাল থেকে জেলেদের আহরিত কাঁকড়া নিয়ে উলুবুনিয়া এলাকায় থাকা আমাদের ডিপোতে আসছিল। রাত সাড়ে ৩টার দিকে পশুরনদী সংলগ্ন ঘষিয়াখালী চ্যানেলের প্রবেশেদ্বারে রামপাল উপজেলার পেড়িখালী এলাকার হাসিব ইজারাদার ও মোংলার সোনাইলতলা এলাকার রেজাউল সরদারসহ বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী কার্গোবোটটিতে উঠে আমার ভাই ও জেলেদের মারধর করে। একপর্যায়ে তারা বোটের ১৪০টি ক্যারেটে রাখা চার হাজার ২৫৬ কেজি কাঁকড়া লুটে নেয়। যার দাম ২৯ লাখ ৭৯ হাজার ২০০ টাকা।  

তিনি আরও বলেন, পরে লুটে নেওয়া কাঁকড়া একটি বোটে করে খুলনার দাকোপ উপজেলার বাজুয়া এলাকায় বিদ্যারবাহন খেয়াঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ট্রাকে করে রামপালের ভাগা বাজারে নেওয়া হয়। সেখানে প্রোসেসিং করে কাঁকড়াগুলোকে ঢাকায় চালান করে দেন লুটকারীরা।  

ব্যবসায়ী ইসমাইল গাজী বলেন, এক সপ্তাহ ধরে চেষ্টা করা হলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে শনিবার রাতে মামলা নিয়েছে। আসামিরা অনেক প্রভাবশালী, তাই হয়তো পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করছে না। আসামিদের গ্রেপ্তার করে কাঁকড়ার টাকা আদায় করে দেওয়ার জন্য পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এ ব্যবসায়ী।

১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনে মাছ-কাঁকড়া আহরণ বন্ধ থাকার পরও জেলেরা কাঁকড়া কোথায় পেলেন এমন প্রশ্নে ব্যবসায়ী ইসমাইল গাজী বলেন, সুন্দরবন থেকে এসব কাঁকড়া আহরণ করা হয়নি। জয়মনিসহ স্থানীয় বিভিন্ন খাল ও নদী থেকে জেলেরা এসব কাঁকড়া আহরণ করেছেন।

এদিকে মামলা হওয়ার পরপরই গা ঢাকা দিয়েছেন আসামি হাসিব ইজারাদার ও রেজাউল সর্দার। তাদের ফোনও বন্ধ।

মোংলা থানার ওসি মোহাম্মদ সামসুউদ্দীন বলেন, কাঁকড়া লুটের ঘটনায় মামলা হয়েছে। তদন্ত চলছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।

মামলা নিতে দেরির কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ওই ব্যবসায়ী শুক্রবার (২৮ জুলাই) একটি ত্রুটিযুক্ত এজাহার নিয়ে এসেছিলেন। পরে এজাহার সংশোধন করে আনলে মামলা নথিভুক্ত করি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০২৩
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।