ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দক্ষিণ সিটির ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৯ স্থাপনাকে জরিমানা 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ৩, ২০২৩
দক্ষিণ সিটির ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৯ স্থাপনাকে জরিমানা 

ঢাকা: ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ ও এডিস মশার প্রজননস্থল নিধনে ৯ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। অভিযানকালে এডিস মশার ৯টি বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

 

বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) করপোরেশনের ধানমন্ডি, হাতিরপুল, তিলপাপাড়া, চকবাজার, উর্দু রোড, কোর্ট হাউস, তাঁতি বাজার, শাখারী বাজার, জুরাইন, কদমতলী, গ্রীন মডেল টাউন, ডেমরা ও কাজলার পাড় এলাকায় এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এক নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুল ইসলাম রুমি ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ধানমন্ডি ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের হাতিরপুল ৪০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং ২টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ২ মামলায় ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

দুই নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসলীমা বেগম ১ নম্বর ওয়ার্ডের তিলপাপাড়া এলাকায় ৪৮টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং ২টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ২ মামলায় ৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

তিন নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজমুল হুসেইন খান ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের চকবাজার ও উর্দু রোড এলাকায় ৬৩টি বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করেন এবং ১টি বাড়িতে মশার লার্ভা পাওয়ায় ১ মামলায় ৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।   

চার নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের কোর্ট হাউজ, তাঁতি বাজার ও শাঁখারি বাজার এলাকায় ৫৪টি স্থাপনা ও বাসাবাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন। আদালত এ সময় কোনো স্থাপনায় মশার লার্ভা পাননি।

পাঁচ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মৌসুমি জেরিন কান্তা ৫৩ ওয়ার্ডের জুরাইন ও কদমতলী এলাকায় ৪০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। আদালত এ সময় কোনো স্থাপনায় মশার লার্ভা পাননি।

ছয় নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শুভাশিস ঘোষ ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ বনশ্রী এলাকায় ৫২টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ১টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ১ মামলায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

সাত নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আকন্দ মোহাম্মদ ফয়সাল উদ্দিন ৭১ ও ৭২ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রীন মডেল টাউন ও মান্ডা এলাকায় ৭২টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। আদালত এ সময় কোনো স্থাপনায় মশার লার্ভা পাননি।

আট নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পঙ্কজ চন্দ্র দেবনাথ ৬৬ নম্বর ওয়ার্ডের ডেমরা এলাকায় ৪৮টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ১টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ১ মামলায় ২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।  

নয় নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনজুর হোসেন ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাজলার পাড় এলাকায় ৪০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ১টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ১ মামলায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

অভিযানে সর্বমোট ৪৫৭টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়েছে। এ সময় ৯টি বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় ৯ মামলায় সর্বমোট ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০২৩
এইচএমএস/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।