খুলনা: মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে পদ্মা নদীর তীর রক্ষা বাঁধের কাজ পরিদর্শনে নদীতে নেমে নিখোঁজ হওয়া ডুবুরি দলের প্রকৌশলী আমান উল্লাহর (২৫) দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যায় আমান উল্লাহর গ্রামের বাড়ি খুলনার রূপসা উপজেলার আইচগাতি ইউসুফিয়া সালেহীয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
আমানের ভাগ্নে আবু মুছা বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।
এর আগে, আমানের মরদেহ তার নিজ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। তরুণ এ প্রকৌশলীর অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
নিহত আমান উল্লাহ খুলনার রূপসা উপজেলার দোয়াড়া এলাকার বাসিন্দা রজ্জব আলীর একমাত্র ছেলে। তিনি বাঁধ নির্মাণ কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এমডি জামিল ইকবাল-এস কে ইমদাদুল হক আল মামুনের কনসালটেন্ট ফার্মের ডুবুরি দলের প্রকৌশলী।
পুলিশ ও স্বজনদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বাঁধের বালুভর্তি জিও ব্যাগ নদীতে যথাযথভাবে ফেলা হয়েছে কি না, তা দেখতে মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে অক্সিজেন মাস্ক পরে ডুবুরির যাবতীয় সরঞ্জামসহ সহকর্মী ডুবুরি মীর সাজ্জাদ হোসেনের (৫১) সঙ্গে পানিতে ডুব দেন আমান উল্লাহ।
ডুব দেওয়ার প্রায় ১৫ মিনিট পরে আমান উল্লাহ ভেসে উঠে সাহায্যের জন্য হাত উঁচু করলে নদীর পাড়ে থাকা আরেক ডুবুরি জাহিদ পানিতে নামেন। কিন্তু ততক্ষণে আমান উল্লাহ পানিতে তলিয়ে যান। এরপর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ডুবুরি ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদের মাধ্যমে তার খোঁজ চলে।
বুধবার বিকেল ৩টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে পূর্ব দিকে সাত কিলোমিটার দূরে পানির নিচ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেন ডুবুরিরা।
হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার আদিত্য বলেন, ঘটনাস্থল থেকে পূর্ব দিকে প্রায় সাত কিলোমিটার দূরে পানির নিচ থেকে আমান উল্লাহর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২৩
এমআরএম/আরএইচ