বরগুনা: বরগুনার আমতলী পৌরভবনের সামনে প্রায় ৩০ একর জায়গা জুড়ে রয়েছে একটি জলমহাল। জলমহালের তিন পাশে শতশত পরিবারের বসবাস।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) সরেজমিনে দেখা গেছে, শতশত মাছ মরে ভাসছে।
জলমহালের ইজারাদার মো.মিরন খান বলেন, জলমহালের তিন পাড়ের পরিবারগুলো তাদের সকল আবর্জনা জলমহালের ভেতরে ফেলায় পানিতে গ্যাস সৃষ্টি হয়ে মাছ মারা যাচ্ছে। এছাড়া পৌর শহরের অনেক ড্রেনের বর্জ্যও জলমহালের পানিতে ফেলা হচ্ছে তা থেকে গ্যাস সৃষ্টি হয়ে মাছ মারা যাচ্ছে। এই ২ মাসে তার ৪০ লাখ টাকার মাছ মারা গেছে বলে ও দাবি করেন তিনি।
মিরন খান আরো বলেন, জলমহালের মধ্যে দিয়ে পানি নিষ্কাষণের জন্য উত্তর পাশে একটি ড্রেন রয়েছে । ড্রেনটি দিয়ে পানি ঠিকমত আসা যাওয়া করতে পারছে না। কারণ ড্রেনের মুখের ভাগ উচু। নদী থেকে পানি ঠিকমত জলমহালে আসা যাওয়া করতে পারে না। ড্রেনের সম্মুখ ভাগ যদি একটু নিচু করে দেওয়া হয় তবেই জলমহলে নদীর পানি আসা যাওয়া করতে পারতো। নদীর পানি মহালে প্রবেশ করতে পারলে মনে হয় পানি ভাল হয়ে মাছ মরা বন্ধ হতো।
এ ব্যাপারে ইজারাদার মিরন খান আমতলী পৌর সভার মেয়র ও বরগুনা জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
জলমহালের পূর্ব পাড়ের এনায়েত করিম বলেন, এই পানি কোন কাজে ব্যবহার করতে পারছি না। মরা মাছের দুর্গন্ধে থাকতে পারছি না।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, অ্যামোনিয়া গ্যাসে মাছ মারা যাচ্ছে। সরেজমিনে দেখে মাছ চাষিকে জরুরী ভিত্তিতে মাছ রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০২৩
এমএম