কক্সবাজার: কক্সবাজারের নূনিয়াচড়ার আলোচিত ইয়াবা লুটের ঘটনায় প্রধান আসামি সৈয়দ উল্লাহ ও তার সহযোগী আবদুল গফুরকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ সময় তাদের কাছ থেকে এক লাখ তিন হাজার ৮০০ পিস লুণ্ঠিত ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
সোমবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে কক্সবাজার র্যাব-১৫ কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান র্যাব-১৫ এর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর সৈয়দ সাদিকুল হক।
তিনি জানান, গত ১২ আগস্ট শনিবার ভোরে কক্সবাজারের শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী সৈয়দ উল্লাহ তার ট্রলারে করে বিপুল পরিমাণ ইয়াবার একটি চালান নিয়ে আসে। এরপর শহরের উত্তর নুনিয়ারছড়ার পানির কুয়া এলাকায় খালাস করার সময় অপর একটি গ্রুপ সৈয়দ উল্লাহর ইয়াবা লুট করার চেষ্টা করলে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় সৈয়দ উল্লাহ ও তার ৬ থেকে ৭ জন সহযোগী ইয়াবা ছিনতাইকারী ওই গ্রুপের ওপর ছুরি ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে। এতে দুদু মিয়া ও তার সহযোগী মো. রিপন গুরুতর আহত হন। এ ঘটনার পরদিন ১৩ আগস্ট আহত দুদু মিয়া বাদী হয়ে ইয়াবা গডফাদার সৈয়দ উল্লাহকে প্রধান আসামি এবং তার অপর পাঁচ সহযোগীর নামোল্লেখ করে আঘাত ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে কক্সবাজার সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় র্যাব-১৫ সদস্যরা হামলাকারী আসামিদের আটক ও খালাসকৃত ইয়াবাগুলো উদ্ধারে তৎপরতা বাড়ায়। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার (১৩ আগস্ট) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের মাদালিয়াপাড়াস্থ সৈয়দের শ্বশুর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সৈয়দ উল্লাহ ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী আবদুল গফুর ওরফে গুড়ুইল্লাকে আটক করে। পরে তাদের হেফাজতে থাকা একটি প্লাস্টিকের বস্তা থেকে এক লাখ তিন হাজার ৮০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
আটকদের কক্সবাজার সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে বলে জানান র্যাব-১৫ এর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর সাদিকুল।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২৩
এসবি/আরআইএস