ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩০ মাঘ ১৪৩১, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

রোগীর মৃত্যু নিয়ে সিওমেকে হামলার অভিযোগে আটক ৪

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০২৩
রোগীর মৃত্যু নিয়ে সিওমেকে হামলার অভিযোগে আটক ৪

সিলেট: রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (সিওমেক) একটি ওয়ার্ডে চিকিৎসক ও নার্স কক্ষে রোগীর স্বজনদের বিরুদ্ধে ভাঙচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।

ঘটনার প্রতিবাদে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন।

সোমবার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যায় হাসপাতালের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।

আটকরা হলেন- মহানগরের মোগলাবাজার থানার কুচাই নোয়াগাওয়ের শাহাব উদ্দিনে ছেলে জুবেল আহমদ (২৭), তার সহোদর জুয়েল আহমদ (২৩) ও সাবেল আহমদ (২১) এবং তাদের চাচা একই গ্রামের বাতির আলীর ছেলে আব্দুল মালেক (৫৪)।     

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, কুচাই শ্রীরামপুর নোয়াগাঁওয়ে বাতির আলীর ছেলে শাহাব উদ্দিনকে (৪০) মস্তিস্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে হাসপাতালের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের ১৯ নম্বর শয্যায় ভর্তি করা হয়। বিকেলে সাড়ে ৪টার দিকে তিনি মারা যান। এ ঘটনা নিয়ে রোগীর স্বজনরা ওই ওয়ার্ডে ইন্টার্ন চিকিৎসক ও নার্সদের ডিউটি রুমে ভাঙচুর করেন। সে সময় ওষুধসহ ফার্নিচার ফ্লোরে ফেলে দেওয়া হয়। রোগীর স্বজনদের আক্রমণের মুখে চিকিৎসক ও নার্সরা ওই ওয়ার্ড ছেড়ে চলে যান। পরে অন্য ইন্টার্ন চিকিৎসক ও স্টাফরা এসে রোগীর চার স্বজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন।  

নিহতের ছেলে রুবেল আহমদ বলেন, আমি তখন ওষুধ আনতে হাসপাতালের নিচে যাই। এসে দেখতে পাই বাবা মারা গেছেন। তখন চাচাতো ভাইদের পুলিশ আটক করতে দেখেন।  

তার চাচা ও চাচাতো ভাইদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, আমার বাবার অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসককে ডাকতে যান। কিন্তু চিকিৎসক অবহেলা করেছেন, তাদের কাকুতি-মিনতি শুনেও পাত্তা দেননি। এরইমধ্যে তার বাবা মারা গেলে চাচাতো ভাই উত্তেজিত হলে চিকিৎসকরা ধরে তাদের পুলিশে সোপর্দ করেন।

এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, হাসপাতালে রোগীর চাপ সব সময়ই বেশি থাকে। যে কারণে ডিউটি ডাক্তাররা দম ফেলার সময় পান না। অনেক সময় একসঙ্গে পাঁচজনও ডাক দেন। এ অবস্থায় মারা যাওয়া রোগীর স্বজনরা ক্ষুব্ধ হয়ে ভাঙচুর করেছেন। তখন আতঙ্কিত হয়ে চিকিৎসক ও নার্সরা ওয়ার্ড থেকে চলে যান।  

তিনি বলেন, এ ঘটনায় হামলাকারী চারজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন। এছাড়া ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন। তাদের সঙ্গে আলোচনাক্রমে ধর্মঘট প্রত্যাহারের চেষ্টা চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০২৩
এনইউ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।