ঢাকা, রবিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নীলফামারীতে সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি, থানায় জিডি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫১ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২৩
নীলফামারীতে সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি, থানায় জিডি

নীলফামারী: নীলফামারীতে সাংবাদিক আব্দুর রশিদ শাহকে (৩৮) প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় রোববার (২৬ আগস্ট) রাতে নীলফামারী সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তিনি।

 

নীলফামারী সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মোহাম্মদ শাহরিয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আব্দুর রশিদ শাহ নীলফামারী পৌরসভার মধ্য হাড়োয়া এলাকার ছাবের আলী শাহর ছেলে। তিনি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল নিউজ২৪ ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল ডেইলি বাংলাদেশের নীলফামারী প্রতিনিধি।

ভুক্তভোগী আব্দুর রশিদ শাহ বলেন, রোববার রাত ৮টা ৫২ মিনিটে আমার মোবাইল ফোনে ০১৭৫৫০১৯১৭১৭ নম্বর থেকে একটি কল আসে। কলটি রিসিভ করার পর অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তি আমাকে জিজ্ঞেস করেন, আপনি শাকিল নাকি, তখন আমি বলি যে আমার নাম শাকিল না। তিনি আবার আমাকে শাকিলের কথা জিজ্ঞেস করলে আমি তাকে বলি যে আমি শাকিল না, আপনার মনে হয় ফোন নম্বরটি ভুল হয়েছে। তখন অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তি আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি দিতে শুরু করেন। অজ্ঞাত ওই ব্যক্তি আমাকে হুমকি দিতে থাকেন। বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তোকে খুন করে ফেলব। কেউ তোকে বাঁচাতে পারবে না।

তিনি আরও বলেন, এরপর আমাকে নীলফামারীর টিটিসির ওখানে যেতে বলেন ফোন করা ওই ব্যক্তি। আমি আমার বন্ধু মিজানুরসহ সেখানে যাই। এরপর রাত ৯টা ৫ মিনিটে আবার ফোন দিয়ে আমাকে হুমকি দিয়ে একপর্যায়ে কল কেটে দেন হুমকিদাতা। পরে আমি আমার সহকর্মী বৈশাখী টেলিভিশনের সুমনকে ঘটনাটি বললে তনি ওই নম্বরে কল দেন। তখন ফোন রিসিভ করে তাকেও অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তি।

বৈশাখী টেলিভিশনের নীলফামারী প্রতিনিধি ওয়ালি মাহমুদ সুমন বলেন, ঘটনা শুনে আমি ফোন দিলে আমাকেও অকথ্য ভাষায় গালাগালি করা হয়েছে। এভাবে একজন সাংবাদিকের ফোনে হুমকি আসা খুব চিন্তার বিষয়। প্রশাসন যেন দ্রুত এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২৩
এসআই


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।