ময়মনসিংহ: ভারতীয় ২১টি চোরাই মহিষ নিয়ে বিপাকে রয়েছেন ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী হালুয়াঘাট থানা পুলিশ। গত তিনদিন ধরে তারা এই মহিষগুলোকে থানা হেফাজতে রেখে লালন-পালন করছেন নিজ দায়িত্বে।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটায় হালুয়াঘাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবুল হাসেম বাংলানিউজকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিষয়টি নিয়ে থানা কম্পাউন্ডের বাইরেও উপজেলা জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
এরআগে শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) উপজেলার ভুবনকুরা ইউনিয়নের কুমারগাতা গ্রামের বাবুল মিয়ার বাড়ি থেকে এই মহিষগুলো উদ্ধার করা হয়। সেদিন থেকেই এই মহিষগুলোকে থানা হেফাজতে রেখে লালন-পালন করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
মো. আবুল হাসেম আরও জানান, স্থানীয় সীমান্ত এলাকা দিয়ে চোরাই পথে মহিষগুলো আনা হয়েছে খবর পেয়ে কুমারগাতা গ্রামের বাবুল মিয়ার বাড়ি থেকে মহিষগুলো জব্দ করে পুলিশ।
এ ঘটনায় রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) থানার উপ-পরিদর্শক মো. মাহাবুব বাদি হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে হালুয়াঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় তিন জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আর চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।
নাম উল্লেখ করা আসামিরা হলেন- বাবুল মিয়া, মো. হীরা ও মো. শহীদুল্লাহ।
তারা সবাই চোরা কারবারি হিসেবে এলাকায় পরিচিত। ঘটনার পর থেকে তারা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে। তবে তাদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান চলমান আছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবুল হাসেম জানান, মহিষগুলোর খাবার সংগ্রহ ও রক্ষণাবেক্ষণে অনেক কঠিন কাজ। তবুও আদালতের সিদ্ধান্ত না পাওয়া পর্যন্ত থানা হেফাজতেই এদের রাখা হবে।
উপজেলার ভুবনকুড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. সুরুজ মিয়া জানান, গত ২ সেপ্টেম্বর কড়ইতলা সীমান্ত দিয়ে ২৫টি ভারতীয় মহিষ চোরাই পথে আনা হয়। পরে সেগুলো ট্রাকে করে অন্য এলাকায় পাঠানোর খবর পেয়ে ঘটনাটি থানা পুলিশকে জানালে তারা এই মহিষগুলো জব্দ করে। তবে এখন পর্যন্ত অন্য চারটি মহিষ কোথায় আছে, তা জানা যায়নি।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও হালুয়াঘাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবুল হাসেম জানান, ঘটনার তদন্ত চলমান আছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২৩
এসএম