ঢাকা: বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পানশী নৌকায় ভ্রমণ করলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে মিরপুরের তুরাগ ও সাভারের কর্ণাতলী নদীতে ভ্রমণ করেন তিনি।
মিরপুর বড় বাজার ইকো পার্ক ঘাট থেকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রোসহ অন্যান্য সফর সঙ্গীকে নিয়ে তুরাগ নদীতে যাত্রা করে ‘ফ্লেচেডি অর’ নামে বৃহত্তম এ পানশী নৌকাটি। এরপর সাভারের কাউন্দিয়া ইউনিয়নের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া কর্ণাতলী নদীতে প্রবেশ করে পানশী। সেখানে কিছু সময় কাটান তারা। উপভোগ করেন নদীমাতৃক বাংলাদেশকে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোর সঙ্গে পানশী নৌকা ভ্রমণে অংশ নেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান সাবের হোসেন চৌধুরী, বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুই, ফ্রেন্ডশিপের প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক রুনা খান ও দুদেশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
আয়োজকরা জানান, নদীকেন্দ্রিক বাংলাদেশের জীবন-জীবিকা এবং নদী তীরবর্তী গ্রামবাংলার ঐতিহ্য তুলে ধরতে ফ্রান্স প্রেসিডেন্টের সম্মানে আয়োজন করা হয় এ নৌ-ভ্রমণ। প্রায় ৭২ ফুট দীর্ঘ বাংলার ঐতিহ্যবাহী বিশেষ এ পানশী নৌকা নির্মাণ করেছে ‘ফ্রেন্ডশিপ’। সর্বোচ্চ ৩০ জন ধারণ ক্ষমতার নৌকাটি বাংলাদেশের নদী অববাহিকার বিভিন্ন সংস্কৃতির ধারক-বাহক।
বিলুপ্তপ্রায় ঐতিহ্যবাহী পানশী নৌকা সংরক্ষণে নির্মাণ করা হয় ‘ফ্লেচে ডি অর’ নামে বৃহত্তম এ পানশী নৌকা। এটি নির্মাণে এগিয়ে আসেন ফ্রেন্ডশিপের প্রতিষ্ঠাতা রুনা খান। পানশী নৌকা ছিল উত্তরবঙ্গের নদী অববাহিকার মানুষের যাতায়তের প্রধান বাহন। বিশেষ করে জমি থেকে ধান কেটে এ নৌকায় বোঝাই করে নিয়ে যেত বাংলার কৃষকরা। এর পাশাপাশি অনেক মালামাল পরিবহনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতো পানশী নৌকা।
কোনো দেশের রাষ্ট্রপ্রধান প্রধান হিসেবে ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁই প্রথম যিনি ফ্রেন্ডশিপ নির্মিত বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকায় চড়েন। এর আগে ২০০২ সালে ফ্রেন্ডশিপের নৌকায় চড়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন।
দুদিনের সফরে রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় আসেন ম্যাক্রোঁ। পরদিন তিনি ঢাকা ছাড়েন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৩
এমআইএইচ/আরবি