ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

রোহিঙ্গাদের জন্য দ. কোরিয়ার ১ মিলিয়ন ডলার অনুদান

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৩
রোহিঙ্গাদের জন্য দ. কোরিয়ার ১ মিলিয়ন ডলার অনুদান

ঢাকা: দক্ষিণ কোরিয়ার ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অনুদানকে স্বাগত জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর।

এই আর্থিক সহায়তা বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সুরক্ষা ও মানবিক সহায়তা নিশ্চিতে ইউএনএইচসিআরের কাজকে জোরদার করবে।

 

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর)  এক  বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় ইউএনএইচসিআর।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএনএইচসিআরের সহকারী প্রতিনিধি (ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ) সু-জিন রি বলেন, ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমার থেকে শরণার্থীদের সর্বশেষ ঢলের পর ছয় বছর পার হয়েছে; আর বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সংকট এখন একটি প্রলম্বিত পরিস্থিতিতে রূপ নিয়েছে। যেখানে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী তাদের দৈনিক প্রয়োজন মেটাতে এখনও মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে পাওয়া এই অনুদানের মাধ্যমে ইউএনএইচসিআর বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মর্যাদা ও কল্যাণে কাজ করতে পারবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ক্রমহ্রাসমান আর্থিক সহায়তার এই সময়ে দক্ষিণ কোরিয়ার এই অবদান সত্যিই অমূল্য।


বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের  রাষ্ট্রদূত পাক ইয়ং-সিক বলেন, ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশ সরকার ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে নিবিড় সমন্বয়ের মাধ্যমে কোরিয়া প্রজাতন্ত্র বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী ও তাদের আশ্রয় প্রদানকারী স্থানীয় জনগণের জন্য প্রতি বছর ৩ থেকে ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়েছে। পরিচ্ছন্ন জ্বালানি হিসেবে লিকুইফাইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) প্রদানে ইউএনএইচসিআর-এর মানবিক কর্মকাণ্ড কোরিয়ার কাছে প্রশংসনীয়।

ইউএনএইচসিআর জানায়, রান্নার জন্য স্থানীয় বনাঞ্চল থেকে আহরিত লাকড়ির বিকল্প জ্বালানি হিসেবে ২০১৮ সালে এলপিজি বিতরণ শুরু করে ইউএনএইচসিআর। এর মাধ্যমে ক্যাম্পে ও আশপাশের এলাকায় পরিবেশের অবনতি রোধ করে এর উন্নয়নে সাহায্য করা সম্ভব হয় এবং এর মাধ্যমে ইউএনএইচসিআর কাজ করে শরণার্থীদের খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টি ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায়। এলপিজি ব্যবহারের মাধ্যমে শরণার্থী নারী ও কিশোরীদের নিরাপত্তা ঝুঁকি কমে যায়। কারণ, তখন থেকে তাদের আর লাকড়ি সংগ্রহ করতে যেতে হয় না। বেঁচে যাওয়া সময় ব্যবহার করে শরণার্থী শিশুদেরও লার্নিং সেন্টারে যাওয়া সম্ভব হয়।

মিয়ানমারে সহিংসতা থেকে পালাতে বাধ্য হওয়ার ছয় বছর পর প্রায় ৯ লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী কক্সবাজারে ঘনবসতিপূর্ণ ক্যাম্পগুলোতে আশ্রিত আছে, এর পাশাপাশি প্রায় ৩০ হাজার  শরণার্থী আছে ভাসান চরে।

বাংলাদেশ সময়: ১১২৮  ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৩
টিআর/এসএএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।