ঢাকা: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, কানেকটিভিটির মাধ্যমে ল্যান্ড লক অঞ্চলকে ল্যান্ড লিঙ্ক অঞ্চলে পরিণত করতে চাই। কানেকটিভিটি বাড়ালে এই অঞ্চলের সব দেশই সুবিধা লাভ করবে।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকার জাপান দূতাবাসে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘বাংলাদেশ ও উত্তর-পূর্ব ভারতসহ বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে আঞ্চলিক কানেকটিভিটির উন্নয়ন’-শীর্ষক সেমিনারটির আয়োজন করে ঢাকার জাপান দূতাবাস।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, আমরা যেকোনোভাবে আঞ্চলিক কানেকটিভিটি বাড়াতে আগ্রহী। এই অঞ্চলে কানেকটিভিটি বাড়াতেই বিবিআইএনসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে কানেকটিভিটি বাড়াতে নানা উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কানেকটিভিটি বাড়ানো ছিল প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক অঙ্গীকার। তবে প্রধানমন্ত্রীর সেই কানেকটিভিটির উদ্যোগ ও বাস্তবায়নকে সে সময় অনেকেই সস্তা রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছেন।
উত্তর-পূর্ব ভারতসহ এই অঞ্চলে কানেকটিভিটি বাড়াতে জাপান সরকারের উদ্যোগকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
সেমিনারে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অর্থায়ন, সময় ও মূল্য নির্ধারণে সমন্বয়, ব্যবহারের সক্ষমতা, বিনিয়োগ বাড়ানো, স্বচ্ছতা ইত্যাদি। এসব চ্যালেঞ্জ সঠিকভাবে বিবেচনা করতে হবে।
ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর থেকে শুধু বাংলাদেশই লাভবান হবে না, এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলোরও লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের এলাকাও এই বন্দরের সুবিধা নিতে পারবে। মাতারবাড়ী ঘিরে এই অঞ্চলের অবকাঠামো উন্নয়নে সহায়তা দিতে আগ্রহী জাপান।
সেমিনারে এশিয়ান কনফ্লুয়েন্সের নির্বাহী পরিচালক সব্যসাচী দত্ত বলেন, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর থেকে ত্রিপুরার সাব্রুম করিডোরকে যুক্ত করলে উত্তর-পূর্ব ভারত সুবিধা লাভ করবে। ফলে বাংলাদেশ ও উত্তর-পূর্ব ভারতের মধ্যে কানেকটিভিটিসহ ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়বে।
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম, অধ্যাপক ড. প্রবীর দে , জাপান দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন মাসিদা তাতসুয়া প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৩
টিআর/আরএইচ