ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

৪ নভেম্বর হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের মহাসমাবেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০২৩
৪ নভেম্বর হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের মহাসমাবেশ ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: সরকারি দলের সংখ্যালঘু বান্ধব নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবিতে আগামী ৪ নভেম্বর রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করবে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। পাশাপাশি ৬ অক্টোবর বিকেল ৪টায় রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের সমাবেশ ও মিছিল করবে সংগঠনটি।

রোববার (০১ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানায় পরিষদের নেতারা। বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু সংগঠনসমূহের ঐক্যমোর্চা যৌথভাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাণা দাশগুপ্ত বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বেশ কয়েকটি ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু স্বার্থবান্ধব প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করে। ২০২১ সালের মধ্যে এইসব অঙ্গীকার বাস্তবায়নে সরকার কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে এগিয়ে না আসায় ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের পর থেকে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও এর নেতৃত্বাধীন ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু সংগঠনসমূহের ঐক্যমোর্চা সংখ্যালঘু স্বার্থবান্ধব অঙ্গীকারসমূহ বাস্তবায়নে পর্যায়ক্রমিকভাবে আন্দোলনের কর্মসূচি করে এসেছে। সর্বশেষ কর্মসূচির মধ্যে ছিল গত ৮ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে বিভাগভিত্তিক জেলা ও মহানগর পর্যায়ে সকাল-সন্ধ্যা গণঅনশন ও গণঅবস্থান।

তিনি বলেন, ২২ সেপ্টেম্বর ভোর ৬টা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে কেন্দ্রীয়ভাবে এ কর্মসূচি শুরু হয়। ২৪ সেপ্টেম্বর ভোর ৬টায় তা শেষ হওয়ার কথা ছিল। এরই মধ্যে এ কর্মসূচি একটানা ৩৪ ঘণ্টা চলার পরপরই আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের অনশনস্থলে এসে অক্টোবর মাসের মধ্যেই জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করার আশ্বাস দেন।

তিনি আরও বলেন, কবির বিন আনোয়ার তখন বলেছিলেন, ২০১৮ সালের আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিশ্রুতিগুলো নিয়ে বর্তমান সরকারের কাজ চলমান। এরমধ্যে তিনটি আইনের কথা তিনি উল্লেখ করেন। কবির বিন আনোয়ার বলেন, বৈষম্য বিলোপ আইন সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটিতে আছে। দেবোত্তর সম্পত্তি আইনটি ধর্ম মন্ত্রণালয়ে আছে। সংখ্যালঘু কমিশন গঠনের কাজটি প্রায় শেষ পর্যায়ে। সে কারণেই আমরা সবার আগে কমিশন গঠনের পদক্ষেপ নিয়েছি। অক্টোবরের মধ্যেই এই কমিশন গঠন করা হবে। কবির বিন আনোয়ারের আশ্বাস এবং অনশনভঙ্গের অনুরোধের প্রেক্ষিতে অনশনকারীরা কর্মসূচির আপাত সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

রাণা দাশগুপ্ত বলেন, ইতোমধ্যে গত ২৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় আগামী ৬ অক্টোবর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরবর্তীতে সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করে আগামী ৪ নভেম্বর শনিবার বেলা ২টায় একই স্থানে মহাসমাবেশ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাশাপাশি আগামী ৬ অক্টোবর শুক্রবার বিকেল ৪টায় সারা দেশের মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সরকারি দলের প্রতিশ্রুতি অনতিবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবিতে সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকায় তা অনুষ্ঠিত হবে বিকেল ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে।

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. নিমচন্দ্র ভৌমিকের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি ও মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি মনীন্দ্র কুমার নাথ, জগন্নাথ হল অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন কর্মকার, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী মহাসচিব পলাশ কান্তি দে, ওয়ার্ল্ড হিন্দু ফেডারেশনের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সভাপতি বরুণ চন্দ্র সরকার, শারদাঞ্জলি ফোরামের সভাপতি রতন চন্দ্র পাল, ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা স্বপ্না বিশ্বাস, অ্যাডভোকেট অপূর্ব ভট্টাচার্য, সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য, সুবীর দত্ত, বাপ্পাদিত্য বসু, মঞ্জু রাণী প্রামাণিক প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০২৩
এসসি/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।