ঢাকা, শনিবার, ১৭ ফাল্গুন ১৪৩১, ০১ মার্চ ২০২৫, ০০ রমজান ১৪৪৬

জাতীয়

বিষ প্রয়োগে আড়াই লাখ টাকার মাছ মেরে ফেলার অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৪, ২০২৩
বিষ প্রয়োগে আড়াই লাখ টাকার মাছ মেরে ফেলার অভিযোগ

শরীয়তপুর: শরীয়তপুরে জব্বার দেওয়ান নামে এক মাছ চাষির পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে আড়াই লাখ টাকার মাছ মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে।

বুধবার (৪ অক্টোবর) ভোর রাতে সদর উপজেলার শৌলপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম সারেঙ্গা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

 

এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত মাছ চাষি জব্বার দেওয়ান চারজনের নাম উল্লেখ করে পালং মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, নড়িয়া উপজেলার হাসের কান্দি এলাকার আক্কেল দেওয়ানের ছেলে জব্বার দেওয়ান সদর উপজেলার পশ্চিম সারেঙ্গা এলাকার আব্দুল গণি খানের কাছ থেকে দুটি পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ করে আসছিলেন। পরে ওই এলাকার সাইদ মাদবর, ফোরহাদ মাদবর, জব্বার দেওয়ানের কাছ থেকে ছোট পুকুরটি মাছ চাষ করার জন্য কিনে নেন।  

এদিকে তারা বড় পুকুরটি কিনতে চাইলে জব্বার দেওয়ান তা বিক্রি করতে অস্বীকৃতি জানান। এই নিয়ে জব্বার দেওয়ান ও সাইদ মাদবরের লোকদের সঙ্গে বিরোধ তৈরি হয়। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার ভোর রাতে জব্বার দেওয়ানের পুকুরে বিষ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে সাইদ মাদবর, ফোরহাদ মাদবর, বিল্লাল মাদবর ও আক্তার মাদবরের বিরুদ্ধে। বিষের প্রভাবে ঘেরের রুই, কাতল, সিলভারকাপসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মরে ভেসে উঠে। পরে এ ঘটনায় বুধবার দুপুরে জব্বার দেওয়ান পালং থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

ভুক্তভোগী মাছ চাষি জব্বার দেওয়ান বলেন, আমি ধারদেনা করে গণি খানের কাছ থেকে ২টি পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ শুরু করি। এর মধ্যে ছোট পুকুরটি সাইদ মাদবর আমার কাছে থেকে কিনতে চাইলে আমি তাদের কাছে বিক্রি করি। পরে বড় পুকুরটিও তারা কিনতে চাইলে আমি আর তাদের দেইনি। এই জেদেই তারা আমার এতো বড় ক্ষতি করেছে। আমি এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিচার চাই। পাশাপাশি আমার ক্ষতিপূরণের দাবি জানাই।

পুকুর মালিক গণি খান বলেন, জব্বার আমার থেকে ২টি পুকুর আড়াই লাখ টাকার বিনিময়ে লিজ নিয়ে মাছ চাষ করছে। পরে জব্বারের কাছ থেকে ছোট পুকুরটি সাইদ মাদবর নিয়ে মাছ চাষ শুরু করে। আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে পুকুরে সব মাছ মরে ভেসে উঠেছে দেখে জব্বারকে জানাই।  

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সাইদ মাদবর বলেন, আমরা এ ধরনের কাজ করিনি বা এ সম্পর্কে আমাদের কোনো ধারণা নেই। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।  

এ ব্যাপারে পালং মডেল থানার ওসি মো. মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, এ ঘটনায় মাছ চাষি জব্বার দেওয়ান একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।