ঢাকা, শনিবার, ১৭ ফাল্গুন ১৪৩১, ০১ মার্চ ২০২৫, ০০ রমজান ১৪৪৬

জাতীয়

হাসি ফুটল অন্ধ তিন সহোদরের মুখে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৫, ২০২৩
হাসি ফুটল অন্ধ তিন সহোদরের মুখে অন্ধ তিন সহোদরে সঙ্গে কথা বলছেন শিল্পপতি মিজানুর রহমান মজুমদার।

ফেনী: ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের উত্তর মন্দিয়া গ্রামের তিন ভাই সাইফুল ইসলাম, শহীদুল ইসলাম ও মোমিন ইসলাম। তারা জন্মগত অন্ধ।

স্বাভাবিক জীবনের মধ্যে না থাকলেও বাড়ির পাশে ছোট এক দোকান চালিয়ে জীবন অতিবাহিত হয় তাদের। কিন্তু পর পর তিনবার দোকানে চুরি হওয়াতে সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েন তারা।
 
সর্বশেষ গত সপ্তাহের মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) ফের দোকান চুরি হলে তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও শিল্পপতি মিজানুর রহমান মজুমদার। এমন সহযোগিতা পেয়ে নতুন জীবন শুরু করতে ফের স্বপ্ন বুনা শুরু করেছেন অন্ধ তিন সহোদর।

বুধবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে তিন সহোদরকে ব্যবসার পুঁজি ও মালপত্র দেন তিনি। এ সময় তিনি তাদের খোঁজখবর নেন এবং আগামীতে চুরি বন্ধে দোকানঘর পাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দেন।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, অন্ধ হলেও তারা কর্ম করে জীবনযাপন করেন। কিন্তু তাদের দোকানে এতবার চুরি হওয়া কখনোই সভ্য কাজ হতে পারে না। মাদকাসক্ত কোনো ব্যক্তি এ কাজ করতে পারে। আমি এটি শোনার পর সহায়ের মাধ্যমে দোকানে মালামাল পাঠিয়ে দিয়েছি। এতে করে তারা পুনরায় ব্যবসা শুরু করতে পারবে।  

তিনি বলেন, আমি ইতোমধ্যে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করেছি তাদের তিন ভাইকে দোকানঘর পাকা করে দেওয়ার ব্যবস্থা করব।
সমাজকর্মী ও সাংবাদিক দুলাল তালুকদার বলেন, আমি জানতে পারি তাদের সবকিছু চুরি হয়ে গেছে।
 
এর আগেও তাদের দোকানে আমরা সামগ্রী কিনে দিয়েছি। তাদের পরিবারের যা সহযোগিতা লাগে করেছি। চুরির বিষয়টি জানতে পেরে মিজান ভাইকে জানাই তিনি তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন। এমন উপহার পেয়ে খুশী অন্ধ তিন ভাই।  

তারা বলেন, আমরা কর্ম করে খাই কারও কাছে ভিক্ষা চাই না। কিন্তু চোর এসে আমাদের সব শেষ করে দিয়েছে। এখন দিন চলার মতো আর কোনো উপায় ছিল না। দোকানে মালামাল তুলে দেওয়ায় আমাদের অনেক উপকার হয়েছে আমরা স্বাচ্ছন্দ্য কর্ম করে চলতে পারব। তবে আগামীতে চুরি বন্ধে দোকানঘরটি পাকা করে দেওয়ার অনুরোধ জানান তারা।

তাদের মা সখিনা বেগম বলেন, ছেলেদের কষ্ট করে মানুষ করেছি। তারা কর্ম করে খায়। কিন্তু চোর আমাদের সব শেষ করে দিয়েছে। আজ এ উপকার আমরা কোনোদিন ভুলব না।

বাংলাদেশ সময়: ১২০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০২৩
এসএইচডি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।